ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

হারের পর শিরোপা উদযাপন সিলেটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
হারের পর শিরোপা উদযাপন সিলেটের

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষটা ভালো করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন সিলেট বিভাগ। প্রথমবারের মতো শিরোপা স্বাদ পাওয়া দলটি হেরে গেছে রাজশাহীর কাছে।

তাদের অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই।  

৭ ম্যাচে ৪ জয়, দুই ড্র ও এক হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবার উপরে আছে সিলেট। ৭ ম্যাচে দুই জয়, চারটি ড্র ও একটি হারে ৮ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা ঢাকা বিভাগের। তিন জয় ও সমান দুটি করে ড্র ও হারে ঢাকা মেট্টো তিন, ৭ ম্যাচে ২ জয় ও এক হারে রংপুর আছে চারে।  

৭ ম্যাচে দুই জয়, ১ হার ও চার ড্রয়ে খুলনা এবার শেষ করেছে পাঁচে। ছয় ও সাতে থাকা চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর জয় দুটি করে। এক জয় নিয়ে সবার শেষে আছে বরিশাল।  

১২ ইনিংসে ৭৮.৫০ গড়ে ৭৮৫ রান করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন অমিত হাসান। ১৩ ইনিংসে ৭০০ রান করে দুইয়ে আছেন খুলনার এনামুল হক বিজয়, সমান ইনিংসে ৫৮৭ রান করে তিনে আছেন অমিত মজুমদার।  

১৪ ইনিংসে ৩৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন ঢাকার এনামুল হক। ১১ ইনিংসে ২৮ উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রামের আশরাফুল হাসান। ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন রুয়েল মিয়া।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর কাছে ৫৪ রানে হেরে গেছে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা সিলেট। প্রথম ইনিংসে রাজশাহী ২২৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ২১২ রান করে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহী ১৮৬ রান করার পর সিলেট অলআউট হয়েছে স্রেফ ১৪৬ রানে।

৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে সিলেট। তাদের হারটা ছিল অনেকটা অবধারিত। চার যোগ করতেই শেষ দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর হয়ে পাঁচ উইকেট পান নিহাদুজ্জামান।  

শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১২২ রানের জয় পেয়েছে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রানে অলআউট হওয়া বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৪১ রান। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করা ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউউট হয় স্রেফ ৯৮ রানে।

৫ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বরিশাল। ৩৪ রান যোগ কতেই বাকি পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দলটির হয়ে ১৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মইনুল ইসলাম। বরিশালের হয়ে তিন উইকেট নেন সালাউদ্দিন শাকিল।  

পরে রুয়েল মিয়ার তোপে অল্পতেই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। ৯ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট পান এই পেসার। মোজাম্মেল হাসান শাকিল পান দুই উইকেট। ঢাকার হয়ে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রনি তালুকদার।  

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ড্র হয়েছে খুলনা ও রংপুরের ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করে খুলনা, রংপুর অলআউট হয় স্রেফ ১৩৩ রানে। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে রংপুর ২৪২ রান করার পর ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়।  

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রান নিয়ে শেষদিনের শুরুটা করেছিল খুলনা। এই ইনিংসে দলটির পক্ষে ৬৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অমিত মজুমদার। রংপুরের হয়ে তিন উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।  

ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে রংপুরের হয়ে লড়েন তানভীর হায়দার। ১১৩ বলে ৮ চারে ৭৮ রানে অফরাজিত থাকেন তিনি। ৫২ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হকও। এই ইনিংসে খুলনার হয়ে চার উইকেট নেন পেসার মেহেদী হাসান রানা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।