ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাইবার ক্রাইমের মতো নতুন নতুন অপরাধ বাড়ছে: বেনজীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
সাইবার ক্রাইমের মতো নতুন নতুন অপরাধ বাড়ছে: বেনজীর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা/ছবি- শাকিল

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রচলিত অপরাধ কমলেও সাইবার ক্রাইমের মতো নতুন নতুন অপরাধ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে ফিনান্সিয়াল ও সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ বাড়ছে। এ ধরনের অপরাধ আমাদের সমাজে নতুন।

তাই সবাই মিলে এই অপরাধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্র্যাবের সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে সম্মলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা, ডিআইজি মিডিয়া এস এম রুহুল আমিন, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলমসহ ক্র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। প্রায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে দেশ। স্বাধীনতার পর পশ্চিমের অনেক অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন বাংলাদেশ টিকবে না। কারণ আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি, খাদ্যের ঘাটতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব রয়েছে। তারপরও দেশে আজ দারিদ্র্য মাত্র ২৪ শতাংশ, জিডিপি ৭ শতাংশের বেশি। এখন তারা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল ভাবে। এটা সম্ভব হয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব ও দেশ ও জনগণ সর্বোপরি সবার সহযোগিতায়।  

তিনি বলেন, দেশে যেকোন মামলা শেষ হতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ মাস লাগার কথা, সেখানে আমাদের বছরের পর বছর বসে থাকতে হয়। বর্তমানে দেশে সাড়ে তিন লাখ মামলার জট রয়েছে। যা শেষ হতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর লেগে যাবে। কারণ বিচারক রয়েছেন মাত্র দুই হাজার। তাই এখাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকার বা রাষ্ট্র ও আমাদের মধ্যে সদিচ্ছার।  

আমাদের প্রতিযোগী বাড়ছে জানিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে পাসপোর্ট ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। যেমন আগে একজন গামের্ন্টস শ্রমিক বেতন পেতেন ৩ হাজার টাকা, বর্তমানে পান ১৪ হাজর টাকার ওপরে। দেশের উন্নতির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরে এদের বেতন হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।  

বার্ষিক সম্মলনে পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার বণিক বার্তার রিপোর্টার আয়নাল হোসেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যমুনা টিভির আবদুল্লা তুহিন, মাদক নিয়ন্ত্রণে নয়া দিগন্তের আমিনুল ইসলাম, মানবাধিকারে জি টিভির সাজ্জাদ পারভেজ, নারী ও শিশু বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য সমকালের বকুল আহমেদকে পুরস্কৃত করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।