ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে ৬৯ টির মধ্যে ১৭ টি কারাগারই ঝুঁকিপূর্ণ: আইজি প্রিজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
দেশে ৬৯ টির মধ্যে ১৭ টি কারাগারই ঝুঁকিপূর্ণ: আইজি প্রিজন

ঢাকা: কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯ টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ টি কারাগার অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো অতিদ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।  

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

আইজি প্রিজন বলেন, এখন তো চারজন জেল সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগের পর্যালোচনা ও তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

কোন মামলার কোন আসামি জামিন পাচ্ছেন তা আমরা জানানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা একটি হট লাইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সেটি চালু হলে জানতে সুবিধা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন এক বন্দির ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমরা কোনো বন্দিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই, কারাগারের বাইরে হলেও সে জায়গাটা কিন্তু কারা অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রণে বা আওতায়। কারণ সেখানে নিরাপত্তায় কারারক্ষী থাকেন। নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দির ওপরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে সেখানে কারারক্ষী ছিল ও তাদের হস্তক্ষেপের কারণেই ঘটনাটি বেশি দূর গড়াতে পারেনি।  

এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, সেটা হচ্ছে কারা হাসপাতাল।  

‘নানা মহলের দাবির প্রেক্ষিতে’ কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল সরকার আমাদেরকে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের পরামর্শ বা মতামত দেয়নি। আমরা গত ৫ আগস্টের পর জনসাধারণের প্রচুর ফিডব্যাক পেয়েছি। সেটির মূল কথাই ছিল কারা অধিদপ্তর লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে।  

নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০১ জন কারাগারে নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। তাদের অনেককেই আমরা সহযোগিতা করেছি।

রাজনৈতিকভাবে যারা ডিভিশিন পাওয়ার উপযুক্ত তারা সবাই ডিভিশন পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক মোতাহের হোসেন বলেন, ডিভিশন পাওয়ার দুটি বিধান আছে, একটি হচ্ছে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, আরেকটি সমাজের গণ্যমান্য, মন্ত্রী, এমপিরা।  

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হয়, এটা তাদের এখতিয়ার, আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা ডিভিশনের নির্দেশ দেন।

চিকিৎসাধীন বন্দিদের নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো সরকারি হাসপাতালে কিন্তু প্রিজন সেল নাই৷ এটা আমাদের দুর্বলতা। সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে প্রিজন সেল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে।  

কারা হাসপাতাল হয়ে গেলে এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।  

এ সময় ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবিরসহ অন্যান্য কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪ 
এজেডএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।