ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দাওয়াত না দেওয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
দাওয়াত না দেওয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।  

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও পার্শ্ববর্তী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

জানা যায়, গুনবহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার সাহেব আলী ও ওয়ার্ড আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মঞ্জুর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে গত ২ জুন মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়েতে সাহেব আলী মেম্বারকে দাওয়াত না দেওয়ায় সে তার লোকজন নিয়ে পিকনিক করে। এর জের ধরে শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে মঞ্জু মেম্বারের লোকজনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে আবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।     

আহতদের মধ্যে মঞ্জু গ্রুপের মঞ্জু মেম্বারকে (৫২) ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আনোয়ার (৫০), ওবায়দুল (৪৫), ইমরুল (৩৫), মিঠুন মোল্যাকে (৪৮) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সাহেব আলী মেম্বারের লোকজনকে পাশের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

এ ব্যাপারে সাহেব আলী মেম্বার মুঠোফোনে বলেন, আমার অবস্থা ভালোনা। আমার শরীরে তিন-চারটি কোপ, জখম রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। রাতে আর কিছু ঘটেনি। সকালে আমি রাস্তায় বের হয়ে দেখি মঞ্জু ও বাকিয়ারের সঙ্গে লোকজন ঢালসড়কি নিয়ে আসছে। আমি পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এসেই আমার ওপর হামলা করে। তারপর ওদের কে-বা কারা মেরেছে আমি জানিনা।  

মঞ্জু মেম্বারের গ্রুপের জিয়াউর রহমান জানান, মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় সাহেব আলী মেম্বার ও তার লোকজন ঝামেলা পাকাচ্ছিল। শুক্রবার ভেন্নাতলার হাটে গেলে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। শনিবার সকালে তারা দল বেধে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মঞ্জু মেম্বার আহত হয়।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, সাহেব আলী মেম্বার ও মঞ্জু মেম্বার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়েতে সাহেব আলীকে দাওয়াত না দিলে তারা পিকনিক করে। এর জেরে দুই পক্ষ শনিবার সকালে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুইজনকে আটক করে থানায় এনেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।