ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে মতিয়া চৌধুরীকে অভিনন্দন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
সংসদে মতিয়া চৌধুরীকে অভিনন্দন

ঢাকা: বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদের উপনেতা হওয়ায় সংসদে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা তাকে অভিনন্দ জানিয়েছেন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুতে আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরীকে অভিনন্দ জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করায় আমি অভিনন্দ জানাই। তিনি সব সময় রাজপথে থেকেছেন। এই সংসদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা করছি। তিনি ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। সেই সময় তিনি ইডেন কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। তিনি তখন আমাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, গণমুখী রাজনীতিই করেছেন। ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তখন সঠিক ধারায় তিনি ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের তিনি সভাপতি হয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও তখন দলের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তিনি নেত্রীর সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরশাদের সামরিক শাসনের সময় তিনি রাজপথে মার খেয়েছিলেন, মনে করা হয়েছিল তিনি মারা গেছেন। এই সংসদের অধিবেশনে সব সময় তিনি সর্ব প্রথম আসেন, সর্ব শেষে তিনি সংসদ থেকে যান। সংসদ উপনেতা ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেও নেত্রী সাজেদা চৌধুরী, তার জায়গা মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এমন একজন নেতাকে সংসদ উপনেতা করা হয়েছে, যিনি সারা জীবন রাজনীতি করেছেন। এতে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। তিনি সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি ১৯৬২ সাল থেকে রাজনীতি করেন। আজ আমরা বলি কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন, এর সফলতার অনেক অবদান ওনার। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের এই সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ। মতিয়া চৌধুরী শেষ জীবন পর্যন্ত রাজনীতির জন্য একাগ্রভাবে কাজ করে যাবেন, এই আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।