ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ড্রেজার মেশিন নিয়ে এসিল্যান্ড-অভিযুক্তদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
ড্রেজার মেশিন নিয়ে এসিল্যান্ড-অভিযুক্তদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ছবি: বাংলানিউজ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় গড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলার দায়ে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছিল।

এর দুদিন পরেই জব্দ করা সেই ড্রেজার মেশিন ফেরত এনে তার সঙ্গে আরও দুটি ড্রেজার বসিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বালু তোলার কাজ।

তাদের দাবি, স্যারের হাতে পায়ে ধরে তেল আর টাকা দিয়ে মেশিন ফেরত আনছি। এখন তাড়াতাড়ি বালু কেটে নিচ্ছি।

জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নে গড়াই নদীর মিটাইন ঘাট থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী রেজাউল মোল্যা।

বালু কাটার সঙ্গে জড়িতরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে মধুখালি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম আরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। গড়াই নদীর মিটাইন ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার দায়ে মোবাইল কোর্ট বালু কাটার ড্রেজার মেশিন জব্দ করে নিয়ে যান। তবে এর দুদিন পরে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জব্দ করা সেই ড্রেজার মেশিনটি ফেরত এনে তার সঙ্গে আরও দুইটি মেশিন বসিয়ে বালু তোলার কাজ শুরু হয়।

জব্দ করা সেই ড্রেজারের মালিক আল আমীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার এসিল্যান্ড স্যার এসে মেশিন নিয়ে যান। আর স্যারের ড্রাইভার আমাকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে যান।

তিনি জানান, ড্রাইভারের সঙ্গে বালু ব্যবসায়ী রেজাউল মোল্যা একলাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে স্ট্যাম্প করে এ ড্রেজার মেশিন ফেরত এনেছেন।

এ বিষয়ে রেজাউল মোল্যা বলেন, মেশিন নিয়ে যাওয়ার পর আমি এসিল্যান্ড স্যারের হাতে পায়ে ধরে আবার মেশিন ফেরত আনছি। পরে স্যারের ড্রাইভার দুই-তিন দিনের মধ্যে বালু কাইট্যা মেশিন সরায় ফেলতে কইছে। তাই এবার তিনটা মেশিন বসায়ে বালু কাটা শুরু করছি।

মেশিন ফেরত আনতে স্যারের ড্রাইভারকে ড্রেজার মেশিনে মজুদ থাকা এক ব্যারেল ডিজেল ও নগদ টাকা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি চালক রুবেল শেখ বলেন, ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেছিলেন এসিল্যান্ড স্যার। পরে রেজাউল মোল্যা এসে হাতে পায়ে ধরছেন। এ জন্যই তাকে মেশিন ফেরত দেওয়া হইছে। তবে তাকে বালু উত্তোলন করতে বলা হয় নাই। তিনি যদি এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে আমার নামে মিথ্যা বলছেন।

এ বিষয়ে মধুখালী সহকারী কমিশনার ভূমি শামিম আরার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। জানতে চাইলে তিনি গড়াই নদীর মিটাইন ঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি বলে জানান।

তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। ছুটি শেষে আগামী মঙ্গলবার অফিসে যাবো। তখন এ ব্যাপারে আপনাকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।