ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১০ দিন ভারতীয় শেল্টার হোমে থাকার পর ১৭ বাংলাদেশি দেশে

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
১০ দিন ভারতীয় শেল্টার হোমে থাকার পর ১৭ বাংলাদেশি দেশে

বেনাপোল (যশোর): টুরিস্ট ভিসায় ভারতে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় ১৭ বাংলাদেশি আটকের ১০ দিন শেল্টার হোমে থাকার পর দেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।  

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার সময় তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার আদেশ কুমার বড়ুয়া (৪৫), সাতক্ষীরা জেলার রামপদ বিশ্বাস (৪০), শংকর কুমার (৩৯), রবীন্দ্র নাথ (৪৫), চন্দন কুমার (৩৮), ধর্মদাস (৪৬), দেবাশিষ (৪৩), বাবু (৪৪), দেবপ্রদীপ (৪৩), গবিন্দ (২৭), তপন কুমার বিশ্বাস (৩২), মিলন মাঝি (৩৪), হরিদাস কুমার মঝি (৫৪), দিপংকর (৩৪), সুমেশ কুমার (৪৩), গৌরপদ মাঝি (৩৮), অমৃত মাঝি (৩৯)।

ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা জানান, তারা ভারতের ব্যাঙ্গালুর শহরে বেশি শ্রমের মজুরির জন্য ধান রোপন ও শ্রমিকের কাজ করছিল। একদিন কাজ করার পর পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে আদালতের মাধ্যেমে একটি শেল্টার হোমে রাখে।  

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ফেরত আসা সকলে টুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়েছিলো। পরে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন শ্রমিকের কাজ করার জন্য ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে তাদেরকে শনিবার দেশ ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তবে তাদের সকলের পাসপোর্টে ভিসার মেয়াদ ছিলো। এবং এদের সকলকে যশোর রাইটস নামে একটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।  
 
যশোর রাইটস এনজিও সংস্থার এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর বজলুর রহমান জাননা, তারা গত ১৩ ডিসেম্বর ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে টুরিস্ট ভিসায় ভারতে প্রবেশ করে ব্যাঙ্গালুরে যায়। পরে সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের কাজ করে। এ সময় সেখানকার পুলিশ তাদেরকে আটক করে ভারতে করিমনগর তেলেংগা সেভ হোমে পাঠায়। পরবর্তীতে সেখানে ১০দিন থাকার পর আজ তাদেরকে দেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়:২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।