ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় ‘স্মরণীয় বিজয় বর্ষ’ উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
কলকাতায় ‘স্মরণীয় বিজয় বর্ষ’ উদযাপন

কলকাতা: ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মিত্রশক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফলে বিজয় দিবস দু’দেশের কাছেই গর্বের বিষয়।

চলমান বছর সেই বিজয় দিবসের ৫০ বছর। আর তা বছরজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সেই উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ মার্চ) কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘স্মরণীয় বিজয় বর্ষ' নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা কলকাতার ফোর্টউইলিয়াম।

সেখানে আনা হয় ফোর্টউইলিয়ামে সদা প্রজ্বলিত মশালের থেকে নেওয়া আগুনের অংশ। প্রসঙ্গত, ফোর্টউইলিয়ামে 'বিজয় সমারক'কে এ মশাল সবসময় প্রজ্বলিত থাকে।  

বিজয়বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার বিকাশ চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মানস ঘোষ, দিলীপ চক্রবর্তী, প্রেসক্লাব সভাপতি স্নেহাষীশ সুর ও ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নিতাই মালাকারসহ বিশিষ্টজনেরা।

ব্রিগেডিয়ার বিকাশ চৌধুরী বলেন, বিজয় দিবস আমাদের কাছে এক গর্বের বিষয়। আমি গভীরভাবে স্মরণ করি ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জল, স্থল, বিমানের দক্ষতা ছিল অভূতপূর্ণ। স্যারেন্ডার করেছিল ৯৬ হাজার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।  

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় সাংবাদিকদের অবদানও ভোলার নয়। ক্যামেরা, কলম নিয়ে তারাও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এ জন্য গভীরভাবে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ভারতের সাংবাদিকদের। এছাড়া উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যারা বিজয় দিবসের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরেছেন সংবাদমাধ্যমে। যেখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অনন্য দলিল হয়ে আছে।

সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে ভারতের সেনাবাহিনীর সহযোগিতার বিষয় আমরা সবাই জানি। এর সঙ্গে বলতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্ব, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তানি সেনার অত্যাচার, মুজিব নগরে শপথ, ভারতীয় সেনার সহযোগিতা এবং গড়ে ওঠা স্বাধীন বাংলাদেশ, প্রতিটা বিষয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ফলে বিজয় দিবসের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কলকাতা প্রেসক্লাব। সে সময় এ প্রেসক্লাবই ছিলো ভারতীয় সাংবাদিকসহ বিশ্বের সাংবাদিকদের বাংলাদেশের যাওয়ার অন্যতম করিডোর। ফলে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের সঙ্গে কলকাতা প্রেসক্লাব ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।

তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধে খবর সংগ্রহ করা শহিদ সাংবাদিকদের কর্মদক্ষতা। এবং এর সঙ্গে তুলে ধরেন জীবন উৎসর্গকারী দুই সাংবাদিক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষালের নামে যে স্মৃতিফলক প্রেসক্লাবে স্থাপিত করেছে তা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।