ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

যক্ষ্মা নিরাময়ে ভারতের ভূমিকায় পঞ্চমুখ হু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
যক্ষ্মা নিরাময়ে ভারতের ভূমিকায় পঞ্চমুখ হু

কলকাতা: ‘টিউবারকিউলেসিস’- টিবি বা যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ে ভারতের ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শুধু তাই নয়, ভারতকে সুপার হিরো বলেও উল্লেখ তাদের।

সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে হু, সেখানে এই কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে হু জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা। ২০১৫-২০২৩ সালে প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা। যেখানে ২০১৫ সালে এক লাখ জনসংখ্যায় ২৩৭ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সেখানে ২০২৩ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় ১৯৫ জনে। অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দেশটি কমে দাঁড়িয়েছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। ২০২৪ সংখ্যাটা আরও কম।

অন্যদিকে গোটা বিশ্বের যক্ষ্মারোগীর হার যেখানে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। সেখানে ভারতে যক্ষ্মারোগীর হার দ্বিগুণেরও বেশি কমেছে। যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে ভারত সরকারের আয়ুষ্মান আরোগ্য প্রকল্পেরও প্রশংসা করেছে হু।   এছাড়া ২০২৩ সালে ভারতে যক্ষ্মা বা টিবি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ১ লাখ মানুষের সফল চিকিৎসা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ২০২৪ পর্যন্ত দেশটিতে ১৯ লাখের মতো যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ছিল। ২০১৫ সালে যেখানে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার হার ছিল ৭২ শতাংশ তা ২০২৩ সালে ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪-এ সংখ্যাটা আরও কমেছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যেখানে যক্ষ্মা নিরাময়ে ২০১৫ সালে ৬৪০ কোটি বরাদ্দ করেছিল, সময়ের সাথে সাথে তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা আরও বলেছেন, ২০২২-২৩ সালে প্রায় ৩৪শ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। টিবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাজেট বাড়িয়েছে কেন্দ্র।  

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগীর পরীক্ষা ও চিকিৎসার পাশাপাশি দেশজুড়ে ১ দশমিক ৭ লাখ আয়ুষ্মান আরোগ্য গঠন করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালও তাৎপর্যপূর্ণভাবে অংশ নিচ্ছে যক্ষ্মা নির্মূল লড়াইয়ে।


প্রসঙ্গত, রোগীর হার কমার পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমছে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাও।  

হু’র রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হত। যা এখন কমে ২২-এ নেমেছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ কমেছে মৃত্যু হার। হু’র রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর তা সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৪
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।