ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নিষ্ঠাভরে পূজা করেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
নিষ্ঠাভরে পূজা করেন মমতা

ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব দীপাবলি। আলোর উৎসবে শামিল হন সব বয়সীরা।

অন্ধকার ভুলে আলোর সন্ধানে অর্থাৎ ইতিবাচক মানসিকতার জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নাম দীপাবলি। যদিও মহাকাব্যে দীপাবলির অন্য বর্ণনা আছে। তবে সনাতনী বাঙালিরা দিনটিতে কালীপূজায় শামিল হন। আর তাই আলোর উৎসব এবং কালীপূজা মিলেমিশে যায় বাঙালির উৎসবের অন্দরে। সেই উৎসবে শামিল হয়েছেন কলকাতাবাসী। তার থেকে বাদ পড়েননি স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

দৈনন্দিন প্রশাসনিক ব্যস্ততা ছেড়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিজের বাড়ির কালীপূজায় অন্য মেজাজে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূজার আগে ভোগ রান্না থেকে অতিথি আপ্যায়ন, বাজালেন রাতের ঘণ্টা ইত্যাদি। অত্যন্ত নিষ্ঠাভাবে নিজে বাড়িতে কালীপূজা করে আসছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিজে হাতে সব করলেন তিনি। পূজা উপলক্ষে তার বাড়িতে হাজির ছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে ভিভিআইপি সবাই।

সারা বছর তুমুল ব্যস্ততা। গোটা রাজ্যের ভার তার কাঁধে। সেই ব্যস্ততার মাঝেই বাড়ির কালীপূজার দিন কিছুটা সময় বের করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার এই পূজায় শামিল হন তার পরিবারের সদস্যরা। এবারও বাড়ির উঠোনেই কালীপূজার আয়োজন করা হয়। গ্রাম বাংলার এক টুকরো ছবি উঠে এসেছে এই পূজার মণ্ডপ সজ্জায়। পাকা ধানের শীষ, কুলা, হাতপাখা, লক্ষ্মীর ভাঁড় দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা উঠানজুড়ে। গ্রাম বাংলার এইসব ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীতে সেজে উঠেছে পূজামণ্ডপও।

ছাত্র রাজনীতি অর্থাৎ জাতীয় কংগ্রেস করার সময় থেকেই নিজেই বাড়িতে কালীপূজার শুরু করেন মমতা। আজও একই নিয়ম নীতি মেনে পূজার আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনোরকম ঘাটতি নেই।

সারাদিন ধরে নির্জলা উপোস করে কালীদেবীর আরাধনা থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন, সব দিকেই সমান নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে রান্নাঘরে যাওয়ার সময় না হলেও কালীপূজার দিন প্রতিবছর নিজে হাতে ভোগ রান্না করেন তিনি।

এবারও দেখা গেল সেই ছবি। দলের সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী, পুলিশ কর্তা থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি হাজির ছিলেন তার বাড়িতে। পূজা উপলক্ষে সাধারণ মানুষেরও অবাধ প্রবেশ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। দিনভর জনসাধারণ দেবীর দর্শন করেন। ছিল ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও। কালীপূজা এবং দীপাবলি উৎসবের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৪
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।