ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায়ও শুরু হলো করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
ত্রিপুরায়ও শুরু হলো করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যেও শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি।

কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার টাউন হলে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিন রাজ্যের পশ্চিম জেলার মোট তিনটি সেন্টারে এবং বাকি ৭টি জেলায় ২টি করে সেন্টারে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সপ্তাহে ৪ দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

মোট চারটি ধাপে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম পর্বে ত্রিপুরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৪৫ হাজার কর্মীকে দেওয়া হবে টিকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশসহ আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং সাফাই কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর পর ধাপে ধাপে অন্যান্যদের দেওয়া হবে।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকাদান কর্মসূচির সূচনা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্ত্যে, অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা রাজ্যের মিশন ডিরেক্টর ডা. সিদ্ধার্থ শিব যশওয়াল, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ড. সন্দীপ এন মহাত্মেসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের ৮ জেলার যে ১৭টি স্থানে ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে এই কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ও জেনে নেন পরিকাঠামোগত কোনো সমস্যা আছে কিনা।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক দিন, কারণ আজ থেকে করোনার টিকা কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোকাল ফর লোকালের ডাক দিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিনও প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বানের ফল। করোনা ভাইরাসের যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তা ভারতেই তৈরি। করোনা ভাইরাসের সময় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। প্রথম যখন করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তখন কি করে মোকাবিলা করা হবে তার কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সকলে তা আয়ত্ব করেছি কীভাবে নিজেকে রক্ষা করে চলতে হবে।

‘স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা করোনা কালের প্রথম সারির যোদ্ধা। ঠিক একইভাবে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীসহ সাংবাদিকরাও প্রথম সারির যোদ্ধা, কারণ তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়েছেন এবং জন সচেতনতা তৈরিতে সহায়তা করেছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।