ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সুফি আন্দোলন নিয়ে প্রামান্যচিত্র নির্মাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
সুফি আন্দোলন নিয়ে প্রামান্যচিত্র নির্মাণ

কলকাতা: সুফি সংগীত থেকে শুরু করে লালন ফকিরের গানে যে মানবতার কথা আছে সেই মানবতার কথাকে ফুটিয়ে তুলতে ‘ক্রাই ফর অ্যামিটি’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নিমার্ণ করছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির।

এ উপলক্ষে ‘ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি’ আয়োজনে সোমবার (১৫ মে) কলকাতার গোর্কি সদনে ‘শতবর্ষের আলোকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান’ শিরোনামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শাহরিয়ার কবির জানান, এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে পাকিস্তান, ভারত, তুর্কি, বাংলাদেশ এবং ইরানের বিভিন্ন জায়গায় সংগীতের বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।

সুফি সংগীতের মধ্যে মানবতার সুর খুঁজতে পাকিস্তানের লাল শাহবাজ সুফি মাজারে গিয়েছিলেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের সুফি মাজারেই একটি বোমা বিস্ফোরণে ১শ’ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

শাহরিয়ার কবির জানান, ওই ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মাজারের সামনে রক্তক্ষয়ী তালিবানি হামলার প্রতিবাদে সুফি নৃত্য পরিবেশন করেন প্রখ্যাত নৃত্য গুরু বিরজু মহারাজের ছাত্রী সীমা কারমানি। প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং করতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হিংলাজ মন্দিরেও যান শাহরিয়ার কবির।

সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, মন্দিরটিতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করেন।

লালন সংগীতের উৎস ক্ষেত্র বাংলাদেশেও এক ঘণ্টার এই প্রামাণ্যচিত্রের বেশ কিছু অংশ শুটিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার কবির। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে এই প্রামাণ্যচিত্রের জন্য আর কিছুদিন কাজ চলবে।

প্রামাণ্যচিত্রের বেশ কিছু অংশ শুটিং হয়ে গেছে। বাকি অংশ ভারতের কেরালায় শুটিং হবে। ওই অংশে ভারতে নির্মিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘উমরাহ জান’র পরিচালক মুজফফর আলির সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা উঠে আসে। সম্প্রতি ও মৈত্রীর ওপর জোর দিয়ে ধর্মের নামে হিংসা এবং সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জনান বক্তারা।

ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, ভারত ও বাংলাদেশকে দু’টি মিত্র দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা অতুলনীয়। সেই সময়ে ভারতে অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী থাকলে হয়তো এই ধরনের সাহায্য মুক্তিযোদ্ধারা পেতো না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য অসিত মিত্র, সাংবাদিক-কবি গীতেশ শর্মা, বরিষ্ঠ সাংবাদিক মানস ঘোষ এবং সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত প্রমুখ।

সোমবার (১৫ মে) শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে মুর্শিদাবাদ রওনা দিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির শাহরিয়ার কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ভিএস/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।