ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সূতি শাড়ির দখলে কলকাতার পূজার বাজার

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
সূতি শাড়ির দখলে কলকাতার পূজার বাজার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: কলকাতায় শেষ মুহূর্তের পূজার বাজারে কেনাকাটার শীর্ষে রয়েছে সূতি শাড়ি।  

দোকান মালিকরা জানালেন এবার পূজার ফ্যাশনে সবকিছুকে পিছিয়ে ফেলে এগিয়ে গেছে সূতি শাড়ি।

কলকাতার বাজার ঘুরে ঘুরে এ তথ্যই পাওয়া গেলো।

পূজার দিন সকালে সূতি শাড়ি তবুও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু সন্ধ্যেবেলায় সুতি! তাও আবার সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমীতেও।

অবাক হয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান আর বাগবাজার থেকে সল্টলেক ঘুরে একই উত্তর পাওয়া গেল। রীতিমতো বিক্রির হিসাব খুলে দেখিয়ে দোকানের কর্মচারীরা জানালেন, সূতির শাড়িতে এবার পূজায় পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে সাউথ কটন।

সঙ্গে আছে দক্ষিণ ভারতের কেরালা কটন, পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র কটন, মঙ্গলগিরি, খেস, তাঁত, কলমকরি, ভেজিটেবিল প্রিন্টের ছাপা শাড়ি, খাদির শাড়ি।

তাঁতের মধ্যে চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশি তাঁতের শাড়ি। রঙের মধ্যে এগিয়ে আছে উজ্জ্বল রঙগুলি। লাল, সবুজ, উজ্জ্বল হলুদ, ম্যাজেন্টা, কালো ,নীল এই বছরের পছন্দের রঙ।

শাড়ির সঙ্গে ভীষণ রকম জনপ্রিয় হয়েছে কলমকরি ব্লাউজ। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পোশাকের বাজার গড়িয়াহাটে গিয়ে দেখা গেল, প্রসাধনী আর গয়নাগাটির দোকানে লম্বা লাইন। দোকানিরা ক্রেতাদের ভিড় সামলে এক ফাঁকে জানালেন, সকালের দিকে পরার জন্য বিডস, কাঠ বা সুতোর গয়নার চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা জানালেন, রাতের দিকে সোনা বা রুপার গয়না পরবেন। তবে, বেশিভাগেরই পছন্দ হালকা সোনা বা রুপার গয়না।

শুধুমাত্র তাঁতের শাড়ি বিক্রি করেন কলকাতার এমন দোকানগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ‘বাই কালার ঢাকাই’-এর চাহিদা বেশি। অর্থাৎ এই ঢাকাই শাড়িগুলির অর্ধেকটা এক রঙের বাকিটা অন্য রঙের।

একথা প্রায় সবাই মেনে নিলেন এবার পূজার প্রথম পছন্দ সূতি আর তাঁত। আর এই সূতি আর তাঁতের যুগলবন্দিই পূজার ফ্যাশনের মূল সুর।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
ভি.এস/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।