ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নীরবতা নয়, করতালিতে স্মরণ বাংলাদেশের বন্ধুকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
নীরবতা নয়, করতালিতে স্মরণ বাংলাদেশের বন্ধুকে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: সদ্য প্রয়াত ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’-এর রেসিডেন্ট সম্পাদক সুমিত সেনের স্মরণ সভা আয়োজন করেছিল টাইমস অব ইণ্ডিয়া। এখানে এক মিনিট নীরবতা পালনের বদলে তারা তাদের অকাল প্রয়াত সম্পাদককে স্মরণ করলেন তিরিশ সেকেন্ড করতালির মাধ্যমে।



কিন্তু নীরবতার বদলে কেন করতালির মাধ্যমে শোক প্রকাশ! টাইমস অব ইন্ডিয়া কর্মীদের মতে, তাদের প্রিয় ‘সুমিত দা’ ছিলেন সদা জাগ্রত, সব সময় সরব এক সংবাদ কর্মী, তাই এমন মানুষের স্মরণে নীরবতা একেবারেই মানায় না।

টাইমস অব ইন্ডিয়া-আয়োজিত এই শোক সভায় স্মৃতিচারণ করেন- পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পর্যটন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা এই সময় পত্রিকার সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায়, আনন্দবাজার গোষ্ঠীর ট্যাবলয়েড ‘এবেলা’-এর সম্পাদক অনিন্দ্য জানা, স্টেটসম্যান পত্রিকার কোঅরডিনেটিং এডিটর উদয় বসু, দ্যা হিন্দু এবং স্টেটসম্যান পত্রিকার সাংবাদিক মারকুস ড্যাম।

উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটিশ কাউনসিলের ডিরেক্টর সুজাতা সেন, সাবেক পুলিশ কমিশনার গৌতম মোহন চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইজর প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, প্রখ্যাত শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, নেপালের কনস্যুলার জেনারেল সিকে গিমরে, মালয়েশিয়ার শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া প্রমুখ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিভিন্ন দেশের সাংবাদ মাধ্যম প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন বাংলানিউজ এর কলকাতা প্রতিনিধি।

একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রয়াত সুমিত সেন একাধিকার বাংলাদেশে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রতি তার ছিল আত্মিক টান। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন তিনি। ছিটমহল বিনিময়, তিস্তা চুক্তি, বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা বাস সার্ভিস, কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা প্রভৃতি বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর বক্তব্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল, রাজনীতি সচেতন মানুষের কাছে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার লেখা পশ্চিমবঙ্গের পাঠক সমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল। ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির স্বপক্ষে তিনি বারবার কলম ধরেছেন। এর আগে সুমিত সেন ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ এবং ‘দ্যা স্টেটস ম্যান’ পত্রিকায় কাজ করেছেন।

তার স্মরণ সভায় তারই প্রিয় গান গুলি গেয়ে শোনান গায়ক অনিক ধর।

প্রয়াত সুমিত সেন রেখে গেলেন তার স্ত্রী প্রখ্যাত ভরত-নাট্যম শিল্পী মালবিকা সেনকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
ভিএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।