ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বেশ কিছু অধুনালুপ্ত ছিটের জমির রেকর্ড নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
বেশ কিছু অধুনালুপ্ত ছিটের জমির রেকর্ড নেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: ১১১ সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে মাত্র ৪৩টি ছিটমহলের এবং ৫১টি সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে মাত্র ১৯টির তফসিলভুক্ত নথি (সিএস রেকর্ড) সঠিকভাবে পাওয়া গেছে। যে কয়টি সদ্য বিলুপ্ত ছিটের নথি পাওয়া গেছে তা হস্তান্তর সোমবার (১০ আগস্ট) ভারতের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধায় সম্পন্ন হলো।


 
এর ফলে, দুই দেশ ঠিক কত পরিমাণে জমি পেলো সেকথা সঠিকভাবে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব না হলেও মোটামোটি আগের ধারণা অনুযায়ী প্রায় ৫০ শতাংশ’র অধিক জমি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহম্মদ হাবিবুর রহমান।

আগামী ১৭ আগস্ট ভারতের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা এ জমি সার্ভে করতে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সে সময় এ বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে।
 
সোমবার চ্যাংরাবান্দার বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন, লে. কর্নেল বজরু রহমান হায়েতি, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোজাউদ্দিন ইসলাম, পাটগ্রামের ইউএনও মহম্মদ নূর কুতুবরুল, ডিসি পঞ্চগড় মহম্মদ সালাউদ্দিন, এডিসি পঞ্চগড় মহম্মদ মহামুদুল আলম, ডিসি কুড়িগ্রাম মহম্মদ আখতার হোসেন আজাদ, এসপি কুড়িগ্রাম মহম্মদ তোবা উললাহ, ইউএনও কুড়িগ্রাম মহম্মদ এ যে এম এরশাদ আহাসন হাবিব, ডিসি নীলফামারী মহম্মদ এন ডি মুজিবুর রহমান, ইউএনও (অ্যাকটিং) নীলফামারী মহম্মদ রেজাউল করিম, ডাইরেক্টর অপরেশন নর্থ ওয়েস্ট লে. কর্নেল সালাউদ্দিন আলম খান, মহম্মদ ফইজুল, মহম্মদ আবদুল মান্নান, জাইদুল হক সরদার, মহম্মদ নাসিরুদ্দিন আহমেদ (ডাইরেক্টর রংপুর), বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কলকাতার এইচওসি আনওয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কোচবিহারের জেলা শাসক পি. উল্গানাথন ও তার প্রতিনিধি দল।
 
মহম্মদ হাবিবুর রহমান আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যে ৯৮৯ জন মানুষ ভারতে আসতে চলেছেন তাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাভেল পাস দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে কবে থেকে এবং কোন সীমান্ত দিয়ে তাদের ভারতে আসার পক্রিয়া শুরু হবে আগামী কিছু দিনের মধ্যে সে কথা বলা যাবে।
 
১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন তাদের জমি বাংলাদেশ সরকারের মধ্যস্থতায় এবং সরকারের ঠিক করা দামে বিক্রি করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জমি বিক্রির টাকার প্রমাণ স্বরূপ একটি মানি রিসিড দেওয়া হবে জানা যায়। যা দেখিয়ে ভারতে যাওয়া মানুষরা ভবিষ্যতে ওই টাকার উৎস প্রমাণ করতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা,১০ আগস্ট, ২০১৫
ভিএস/আইএ

** অধুনালুপ্ত ছিটমহলের দলিল হস্তান্তর সোমবার
** সদ্য বিলুপ্ত ছিটের দলিল হস্তান্তর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।