ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভা নির্বাচনে ৩৩ প্রার্থী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১১
পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভা নির্বাচনে ৩৩ প্রার্থী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার বিধান সভার ভোটে তিন জেলার ৫০ টি আসনে মোট ২৯১ প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, অপহরণের মতো গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

‘ইলেকশান ওয়াচ’ নামে একটি সংগঠন প্রথম দফার ভোটের মতো ইসির কাছে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা পরীক্ষা করে এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেশ করেছে।



এই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতার হিসেবে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ জন স্নাতকোত্তর, ৩ জন ডক্টরেট, মাধ্যমিক পাশ ৪৩ জন, উচ্চ মাধ্যমিক ৫৭ জন, স্নাতক ৬৯ জন, পেশাদারি স্নাতক ২১ জন, অষ্টম শ্রেণী পাশ ৩৯ জন, পঞ্চম শ্রেণী পাশ ৯ জন, নব স্বাক্ষর ২ জন ও ১ জন নিরক্ষর।

আরও জানা গেছে, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭২ জন সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কোনোদিন আয়কর দেননি।

সংগঠনটির মতে, গত বিধানসভায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে গত ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে কান্দির বিধায়ক অর্পূব সরকারের। ৫ বছরে তার প্রায় ১২.৭৩ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন।

গতবার তিনি ইসির কাছে জানিয়েছিলেন তার সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ৭৫ হাজার রুপির। এবার তিনি জানিয়েছেন তার সম্পদ আছে ১ কোটি ৪৯ লাখ রুপির।

এই ৫ বছরে ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের ৫০ লাখ রুপি সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী আনিসুর রহমানের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৪ লাখ ৪৪ হাজার রুপি।

৭ জন প্রার্থী আছেন যাদের ঋণ রয়েছে ৩৪ লাখ থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ রুপি।

সিপিআইয়ের প্রার্থী আইনল হক তার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৬৪ লাখ রুপি হলেও কোনো দিন আয়কর দেননি তিনি।

এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী করার বিষয়ে ডান, বাম সবারই একই অবস্থা। প্রথম দফার ৫৪ টি আসনে নারী প্রার্থী ছিলেন ২৮ জন। আর এবার আছেন মাত্র ২৭ জন।

গত বিধানসভায় এই তিন জেলার ৪৬ জন বিধায়ক ছিলেন। এদের মধ্যে যাদের বিধানসভার অধিবেশেনে উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ১৭৮ দিন। এর মধ্যে সিউড়ির বিধায়ক রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী তপন রায় গত ৫ ভচরে মাত্র ১২৮ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় সময়: ১১১৪ ঘন্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।