ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

২৯ বছর পর অবসর নিলেন বিধানসভার স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১১
২৯ বছর পর অবসর নিলেন বিধানসভার স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম

কলকাতা: অবসর নিলেন সংসদীয় ব্যবস্থায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দিন থাকা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম। টানা ২৯ বছর তিনি রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।



১৯৭৭ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের সিপিএম প্রার্থী হয়ে আইনজীবী হাসিম আবদুল হালিম বিধানসভায় আসেন। হন রাজ্য সরকারের আইনমন্ত্রী। পরে তৎকালীন স্পিকার মনসুর হাবিবউল্লাহর মৃত্যুর পর তিনি রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নিযুক্ত হন। এরপর দীর্ঘ ২৯ বছর পর শুক্রবার সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের শেষ বিধানসভা অধিবেশনে তিনি অবসর গ্রহণ করলেন।

বর্ণময় জীবনের অধিকারি হাসিম আবদুল হালিম টানা ৮ বছর রাষ্ট্রসংঘের স্পিকার কমিটির সভাপতি ছিলেন। এটিও একটি রের্কড। কমনওয়েলথ স্পিকার অ্যাসোসিয়েশানের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছিলেন দু’বার। এবার অসুস্থতার কারণে তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

বিধানসভার শেষ অধিবেশনে বিদায়ী ভাষণে তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমার এই ২৯ বছর খুব গৌরবের। এই সময়কালে বিধানসভায় ১৫৮টি বিল পাস হয়েছে। যা এক ইতিহাস। পঞ্চায়েত আইন, ১৮ বছরে ভোটাধিকার ও প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে চালুর মতো আইন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নতুন পথ দেখিয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, প্রয়াত জ্যোতি বসু আমার নেতা। তার নেতৃত্বে আমরা এই কাজ করতে পেরেছি। এখনও অনেক কাজ করতে হবে। আগামী দিনে যারা আসবেন তারা এই কাজ করবেন বলে আমি আশাবাদী। আমার আমন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তারা গ্রাম শহর ঘুরে উন্নয়ন দেখে বলে গেছেন, আপনার অসাধ্য সাধন করেছেন।

সংসদীয় গণতন্ত্রে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব কী-না জানি না। কিন্তু আমরা অনেকটা করতে পেরেছি।

বিরোধী দলের পরিবর্তনের স্লোগানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কিসের পরিবর্তন? কোন পরিবর্তন তা ভাবতে হবে।

বিধানসভা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সবার সাহায্য পেয়েছি। সংসদ জনগণের। এখানে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হয়। এটা ভাঙচুর বা অশ্লীল কথা বলার জায়গা নয়। একে সম্মান দিতে হবে। কংগ্রেস আমলে বিরোধী দলনেতা হতে গেলে ৪৮ জন সদস্য লাগতো। কংগ্রেসর তা ছিল না।

আমার প্রস্তাবে জ্যোতি বসু এটা কমিয়ে ৩০ জন করেন। আমার সময়কালেই বিরোধী দলনেতাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়। যা বামপন্থীরা কোনো দিন পাননি কংগ্রেস আমলে। এটা কী পরিবর্তন নয়?

সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেন, আপনারা সব সময় ভাল কাজ করেন না। খবর পরিবেশন করা আপনাদের কাজ, খবর সৃষ্টি করা কাজ নয়।

তিনি বলেন, সবাই শান্তিময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। ৭০এর দশকের অন্ধকার যুগ আসছে মনে হয়, ভয় লাগে। সেইসব ভয়াল দিনকে ফিরিয়ে আনবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।