ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

প্রচারণায় মমতার মুখে বিএসএফ প্রসঙ্গ, হুঙ্কার বিজেপি প্রার্থীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
প্রচারণায় মমতার মুখে বিএসএফ প্রসঙ্গ, হুঙ্কার বিজেপি প্রার্থীর

কলকাতা: আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতে প্রথম ধাপের লোকসভা নির্বাচনের হতে চলেছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

আর সেই ভোটের ভারতে, মমতার মুখে ফের একবার উঠে এলো বিএসএফ প্রসঙ্গ।

শুক্রবার(১২ এপ্রিল) কোচবিহার আসনে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে, ভোট প্রচারণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী বলেছেন, বিএসএফ’কে দিয়ে যারা সীমানায় অত্যাচার করছে, এবং ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো অর্থাৎ সিবিআই, ইডি, এএনআই দিয়ে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছে এদের একটি ভোটও দেবেন না।

মমতা বলেছেন আমরা একজন ভদ্রপ্রার্থী দিয়েছি। আর ওরা (বিজেপি) একটা দানব দস্যুকে প্রার্থী করেছে। রাজ্যে তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। বিএসএফ, রাজ্য পুলিশের একাংশ, স্থানীয় পুলিশ আর চোরাকারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ওরা ভোট করাতে চায়। প্রসঙ্গত, কোচবিহার আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছেন গতবারের জয়ী সাংসদ নিশিত প্রামাণিককে। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও।

২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (সেখানে দায়িত্বে ছিল বিএসএফ) গুলিতে পাঁচজন মারা গিয়েছিল। শুক্রবার সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছেন, বিএসএফকে দিয়ে ভোটের লাইনে পাঁচজনকে হত্যা করেছিল ওরা। গরু পাচার, অবৈধ অর্থপাচার সবই করছে ওর নির্দেশে (নিশিক প্রামানিক)। তার নামে রাজ্যে এত মামলা আছে কিন্তু তা ওদের (কেন্দ্রীয় সরকার) চোখে পড়ে না।

মমতা বলেছেন, চোখে পড়বে কি করে? তিনি তো কেন্দ্রীয় সরকারের কচি হোম মিনিস্টার। আমার কাছে সমস্ত মামলার নথি আছে। আমি ঠিক সময় মুখোশ খুলে দেবো। মমতার দাবি, তোমরা বলছো তৃণমূল চোর। আর বিজেপি হলো মাফিয়াদের সর্দার। তোমাদের প্রার্থী একজন গুণ্ডা। সংখ্যালঘুদের ভয় দেখায়, রাজবংশীদের ভয় দেখায়। তাদের একটা ভোট দেবেন না।

শুক্রবার সকালে রাজ্য থেকে দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীকে থেকে গ্রেফতার করেছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা -এনআইএ। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম আব্দুল মাতিন তাহা (৩০) এবং মুশাবীর হুসেন সাজিব(৩০)। গোয়েন্দাদের ধারণা তারা আইএসআইএস ভারতীয় শাখার সদস্য।

রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে তারা এই পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপন করেছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএর সঙ্গে ছিল তেলঙ্গনা, কেরল, কর্নাটক ও  পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দল। তবে কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা বলেছেন, আমাদের পুলিশ দু’ঘণ্টার মধ্যে তাদের ধরে দিয়েছে। যা নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

বিজেপি প্রার্থী নিশিথ প্রামাণিক:
অপরদিকে কোচবিহার আসনে জনসভা করেন বিজেপি প্রার্থী নিশিথ প্রামাণিক। তিনি বলেছেন, আমার বয়স কম। কম বয়সে আপনাদের আশীর্বাদে রাজনীতিতে এসেছি। কোচবিহারের সমগ্র মানুষের সমর্থনে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দোয়ায় মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

রাজ্য পুলিশ প্রসঙ্গে নিশিথ বলেছেন, পুলিশ কেনো বিজেপিকে সমর্থন করবে না। ভারতের মধ্যে সবথেকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বেতন কম ছিল। এখন বাংলা পুলিশের থেকে ৩০ হাজার রুপি বেশি বেতন পায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তাদের মুখ্যমন্ত্রী দলদাস করে রেখেছেন। কেন পুলিশ মুখ বুঝে সব সহ্য করবে?

যদিও শীতলকুচির ৫ জন হত্যা নিয়ে বিএএসএফ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল, একসাথে অস্ত্র নিয়ে বাহিনিকে ধাওয়া করেছিল বহু দুষ্কৃতী। তাই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।