ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে জাতীয় নিবার্চন শুরু ১৯ এপ্রিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
ভারতে জাতীয় নিবার্চন শুরু ১৯ এপ্রিল ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ভারতে ১৮তম জাতীয় নির্বাচন (লোকসভা ভোট) তফসিল ঘোষণা করেছে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। দেশটিতে ৫৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবার ৭ ধাপে।

১৯ এপ্রিল থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে শেষ হবে পহেলা জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন।

শনিবার (১৬ মার্চ) দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং ড. সুখবির সিং সান্ধু। চলতি লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ জুন।

শনিবার থেকেই দেশটিতে চালু হয়ে গেলো আদর্শ আচরণবিধি। এবারে দেড় কোটি নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়ে মোট সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে, ভোট দেবেন ৯৭ কোটি ভোটার। ব্যবহার করা হবে ৫৫ লাখ ইলেট্রনিক ভোটার মেশিন (ইভিএম)। নতুন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ। এরমধ্যে ৮৫ লাখের বেশি নারী ভোটার অংশ নেবেন। সব মিলিয়ে ১৮- ২১ বছর বয়সী তরুণ ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৩১ কোটি। মোট নারী ভোটার সংখ্যা ৪৭ কোটি ১০ লাখ। এছাড়া ৮৫ বছরের ওপরে বয়সী ভোটার রয়েছেন ৮২ লাখ এবং শতবর্ষ ছুয়েছেন এমন ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার। অংশ নেবেন ৪৮ হাজার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। দুই বছর ধরে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপে ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপ, ৭ মে তৃতীয় ধাপ, ১৩ মে চতুর্থ ধাপ, ২০ মে পঞ্চম ধাপ, ২৫ মে ষষ্ঠ ধাপ এবং পহেলা জুন সপ্তম ধাপে ভারতজুড়ে ভোট নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ভারতের সিকিম, ওড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এই চার রাজ্যে হবে বিধানসভা (মুখ্যমন্ত্রী আসনে) নির্বাচন। পাশাপাশি ভারতের ২৬ রাজ্যের বিধানসভার উপনির্বাচন হবে ৭ মে।  

ভারতের ৫৪৩ আসনের মধ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে প্রয়োজন ২৭২ আসন। গত নির্বাচনে (২০১৯) বিজেপি ৩০৩ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। সব মিলিয়ে বিজেপি জোট এবং তার জোট শরিক অর্থাৎ এনডিএ পেয়েছিল ৩৫৩ আসন। যার দ্বারা দ্বিতীয়বাবের জন্য নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়েছিল।

সেবার একক ক্ষমতায় কংগ্রেস পেয়েছিল ৫২ আসন। সব মিলিয়ে কংগ্রেস জোট এবং তার জোট শরিক অর্থাৎ ইউপিএ পেয়েছিল ৯৮ আসন। অন্যান্যরা পেয়েছিল ৯২টি আসন। ফলে গতবার মোদী হাওয়ায় খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিজেপি বিরোধীরা। এবারও তফসিল ঘোষণার আগে ভারতের সমীক্ষাগুলো অনেকখানি এগিয়ে রেখেছে মোদীর বিজেপিকেই। ধারেপাশেও নেই বিরোধীরা।

উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ভারতের ৫৪৫ আসন থাকলেও ভোট হয় ৫৪৩ আসনে। দুটি আসন রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থী অ্যাংলো ইন্ডিয়ান থাকে। গতবার নির্বাচন ঘোষণা হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১মার্চ। আর চলতি বছরের শনিবার (১৬ মার্চ) হলো ভারতের ১৮তম জাতীয় নির্বাচন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।