ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

প্রত্যাবর্তনে জনপ্রিয়তা বেড়েছে রাহুলের, নেট দুনিয়ায় এখনও জনপ্রিয় মোদি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
প্রত্যাবর্তনে জনপ্রিয়তা বেড়েছে রাহুলের, নেট দুনিয়ায় এখনও জনপ্রিয় মোদি রাহুল, মোদি

কলকাতা: যখন একের পর এক আদালতে ধরাশায়ী হচ্ছিলেন, জেলে যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছিল, তখন ভারতের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে, সদ্য ফিরে পেয়েছেন সংসদ সদস্য পদ। যার জেরে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন রাহুল গান্ধী।

এই আবহে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হচ্ছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদিকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন রাহুল। সামাজিক মাধ্যমে সব থেকে বেশি অনুরাগী রাহুলেরই, এমন দাবিও উঠেছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? পরিসংখ্যান বলছে না। সামাজিক মাধ্যমে মোদির জনপ্রিয়তাই তুঙ্গে। তবে রাহুলের সদস্য পদ ফিরে পাওয়ায় সেই জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। অনেকেই রাহুল গান্ধীর এই প্রত্যাবর্তনকে রাজনীতির ইতিহাসে অত্যন্ত চমকপ্রদ ঘটনা বলে চিহ্নিত করছেন। সেই সূত্রে কংগ্রেসের তরফে দাবি উঠেছে, সামাজিক মাধ্যমে মোদীকে ছাপিয়ে যাচ্ছে রাহুলের ভিডিও দেখার প্রবণতা।

নেট দুনিয়ায় জনপ্রিয় মাধ্যমগুলির মধ্যে সবার প্রথমে নাম আসে ফেসবুকের। তবে ভারতের রাজনীতির ময়দানে ফেসবুকের থেকেও জনপ্রিয়, টুইটার। বর্তমানে যা ‘এক্স’(X) নামে পরিচিত। এই টুইটারে মূলত স্বল্প কথায় নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন সবাই। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এর মাধ্যমেই মূলত তর্কযুদ্ধে নামেন। অনেক সময় টুইটে একটা লেখার জেরেই তুমুল অশান্তির জন্ম নেয়। মোদি, মমতা, রাহুল কেউই এর বাইরে নেই। বিরোধী বা শাসকের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলা হোক কিংবা কোনো সম্মান জানানো, এক টুইটে বদলে যায় অনেক কিছু।

বর্তমানে এই মাধ্যমে মোদির ফলোয়ার সংখ্যা ৯ দশমিক ৯ কোটি। মোদির পরেই আছেন অমিত শাহ। তার অনুরাগীর সংখ্যা ৩ দশমিক ৩ কোটি। সেখানে এক্স-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে রাহুলের অনুরাগী ২ দশমিক ৪ কোটি। অর্থাৎ মোদির তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি অনুরাগী কম রাহুলের। এখানেই শেষ নয়। ইউটিউবের ক্ষেত্রেও সেই পার্থক্যটা বেশ চোখে পড়ার মতো। যেখানে মোদির অনুরাগী ১ দশমিক ৬ কোটি সেখানে রাহুলের ২৬ লাখের কিছুটা বেশি।

যদিও যে প্রসঙ্গে কংগ্রেস, এই দুই মহারথীর জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তা যথেষ্ট আপেক্ষিক। একটি ভিডিও ঠিক কতজন মানুষ দেখবেন বা ভিউ হবে, তা শুধু অনুরাগীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না। তবে সামগ্রিকভাবে মোদীর জনপ্রিয়তাই যে বেশি তা বলাই বাহুল্য।

এছাড়া ফেসবুকের ক্ষেত্রেও মোদীর অনুরাগী ৪ দশমিক ৮ কোটি। সেখানে রাহুল আটকে রয়েছেন ৬৬ লাখে। ইনস্টাগ্রামেও দুজনের ফলোয়ার সংখ্যায় যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। সুতরাং, সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদি এখনও শীর্ষে। তবে বর্তমানে রাহুলের ভিডিওতে আগের তুলনায় ভিউ বেড়েছে অনেকটাই।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।