এশিয়া কাপ
একটি উইকেটের জন্য শ্রীলঙ্কাকে আজ অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেটের মধ্যে একটি বাদে সবগুলো উইকেটই গিয়েছে পেসারদের ঝুলিতে।
প্রতিটি রানের পরই চিৎকার করছিলেন শ্রীলঙ্কান সমর্থকরা। কলম্বোর গ্যালারির আওয়াজেই স্পষ্ট ছিল রানের তাড়না। শুরুতে বাংলাদেশের
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভিন্ন রকমের রোমাঞ্চ। রাজনৈতিক বৈরিতায় এশিয়া কাপ ও আইসিসি টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের লড়াই দেখা যায় না।
প্রথম পর্বের মতো সুপার ফোরের শুরুটাও হয়েছে হার দিয়ে। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই
বৃষ্টির বাগড়া ছিল শ্রীলঙ্কায় হওয়া এশিয়া কাপের প্রতিটি ম্যাচেই। কলম্বোয় সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বেশি।
প্রথম দশ ওভারের ভেতরই নেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। বাংলাদেশ দলের এরপরও আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারাও
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পরই সম্ভাবনা কমে গিয়েছিল অনেকটা। তবুও বোলাররা লড়লেন তাদের সবটুকু দিয়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না তাদের।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর লড়াই করে যাচ্ছেন বোলাররা। পাকিস্তানকে আটকে রাখতে নিজেদের সবোর্চ্চ চেষ্টাই করছেন তারা। পাকিস্তানের
সতর্ক শুরুর পর প্রথম উইকেট হারাল পকিস্তান। শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে সাজ ঘরের পথ ধরেছেন ফখর জামান (২০)। বাংলাদেশের দেয়া
গতির ভয় ছিল আগে থেকেই। সেটি যেন জপে বসেছিল ক্রিকেটারদের মনেও। মেহেদী হাসান মিরাজের আউটের ব্যাখ্যা তো আর কিছুতেই পাওয়া যায় না।
খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল এশিয়া কাপ স্বপ্ন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়
অবিশ্বাস্য এক ম্যাচেরই সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়িয়েছিল কঠিন এক সমীকরণ। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েনি তারা।
সমীকরণটা এমনিতেই ছিল বেশ কঠিন। ২৯২ রান করতে হতো কেবল ৩৭ ওভার ১ বলে। এর মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই ফিরেছিলেন অল্পতে। কিন্তু
উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। লাহোরে সেটাই স্বাভাবিক। তবুও তাসকিন আহমেদ করলেন অনবদ্য বোলিং। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ ওভার ৩ বল হাত
এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। এরপর গতকাল ভারত-নেপাল ম্যাচটিরও প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল।