ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নাইমুল আবরার হত্যা মামলা-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভিন্ন বিষয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
‘নাইমুল আবরার হত্যা মামলা-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভিন্ন বিষয়’

ঢাকা: নাইমুল আবরার হত্যা মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জন্য মামলা হয়নি, ফৌজদারি অপরাধের কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধের কারণে মামলা হয়েছে এবং আদালত সেখানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত স্বাধীন, কোথায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে কোথায় করবে না সেটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়।

তবে এটির সঙ্গে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নাইমুল আবরার হত্যার মতো এ ধরনের ঘটনাগুলোর সঠিকভাবে যাতে বিচার হয়, যারা দায়ী সেটা আদালত ঠিক করবে। যারা দায়ী তাদের যেন সঠিক বিচার হয়, সেজন্য আমি আশা করবো বিশিষ্টজনরা একটি বিবৃতি দেবেন। আর এটির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সস্পর্ক নেই।

নাইমুল আবরার হত্যা মামলায় আদালত প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধিজীবীদের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। যে কেউ বিবৃতি দিতে পারে। আমি দেখেছি কাগজে ৪৭ বিশিষ্টজন এ ব্যপারে বিবৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ ৪৭ জন ছাড়াও হাজার হাজার বিশিষ্টজন ও বুদ্ধিজীবী আছেন। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে। তবে কোনো অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য বা এরপর যখন লুকানোর অপচেষ্টা করা হয়, একইসঙ্গে পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফন করা হয় এগুলো নিশ্চয় অপরাধ। প্রথমে অবহেলাজনিত মৃত্যু, এরপর এটিকে লুকানোর চেষ্টা কিনা বা অপমৃত্যুর পরে পোস্টমর্টেম ছাড়া মরদেহ দাফন করার জন্য যারা অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল তাদের থেকে প্ররোচণা ছিল বলে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। যদিও বিষয়টি তদন্তে আছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। তারা ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয় সেটির বিরুদ্ধে কিন্তু বিবৃতি দেয় না। সুতরাং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০ 
জিসিজি/এইচএডি/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।