ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এলইডির আলোয় রাতে দিনের ছোঁয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এলইডির আলোয় রাতে দিনের ছোঁয়া পুরনো নিয়নবাতির বদলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হচ্ছে এলইডি বাতি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পুরনো নিয়নবাতি বদলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হচ্ছে এলইডি বাতি। গত কয়েক দিনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জার্মানির অত্যাধুনিক এলইডি বাতি সড়কে বসেছে। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগেই বসেছে এলইডি বাতি। এবার শুরু হয়েছে উত্তরের সড়ক আলোকিত করার কাজ।

কূটনৈতিক জোন খ্যাত রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার সড়কে স্থাপন করা হচ্ছে জার্মানির ভলকান কোম্পানির অত্যাধুনিক এলইডি বাতি। ফলে পুরো এলাকায় রাতের চিত্র পাল্টে গেছে।

রাতে এখন দিনের ছোঁয়া।

এতোদিন পুরনো নিয়নবাতির কারণে অনেক সময় বাতির নিচেই থাকতো অন্ধকারাচ্ছন্ন। যে কারণে অনেক সময় চুরি ছিনতাইসহ খুনের ঘটনাও ঘটেছে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক থাকতেই রাজধানীকে আলো ঝলমলে করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে তার অকাল প্রয়াণে কাজের গতি কিছুটা কমে যায়।  

শেষ পর্যন্ত সীমিত আকারে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে অন্ধকার দূর করে আলোর ঝলকানি দেখাতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে এখনই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে জ্বলবে না এলইডি বাতি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জার্মানিরর ভালকান কোম্পানির নরডন গ্রুপের অত্যাধুনিক এলইডি বসছে ডিএনসিসি'র ১, ৩ ও ৫ নম্বর অঞ্চলে। মোট ৩ হাজার ৩৪৩টি বাতি আনা হয়েছে। প্রতিটি এলইডি বাতির খরচ পড়ছে ৪৭ হাজার টাকা। সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে এই বাতি আনা হয়েছে। প্রত্যেক বাতির দশ বছরের ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো বাতির আলো ৭০ শতাংশে নেমে এলে সেটা পরিবর্তন করার কথা থাকছে চুক্তিতে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা।

পুরনো নিয়নবাতির বদলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হচ্ছে এলইডি বাতি।  ছবি: বাংলানিউজযেসব এলাকায় এলইডি বাতি বসবে
সার্ক ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী। সেখান থেকে স্টাফ কোয়ার্টার। অন্যদিকে প্রগতি সরণির আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত। এদিকে বিজয় সরণি ঘুরে খেজুরবাগান হয়ে সংসদের দক্ষিণে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় বসানো হবে এলইডি বাতি। নতুন বাজার থেকে শুরু করে কাকলী পর্যন্ত রাস্তা ও পাকিস্তান দূতাবাস থেকে শুরু করে সুইমিংপুল পর্যন্ত।

উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার উত্তরা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনের রাস্তায় এরইমধ্যে এলইডি বাতি বসানো হয়েছে। পুরো শহরের এলইডি বাতি ডিএনসিসি কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০টি করে বাতি বসানো হচ্ছে। আর পুরনো বাতিগুলো ডাম্পিংয়ে রাখা হচ্ছে, পরে করপোরেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করা হবে। আমরা আশাকরছি এক মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী থেকে চেয়ারম্যানবাড়ি হয়ে জাহাঙ্গীর গেটের সামনে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের সড়কে ল্যামপোস্টে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এরপর মানিকমিয়া অ্যাভিনিইউসহ অন্য এলাকার সড়কে বসবে এই বাতি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।