ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লুট করা ৯৫ ভরির মধ্যে ৪৮ ভরি স্বর্ণালংকার মিলল গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
লুট করা ৯৫ ভরির মধ্যে ৪৮ ভরি স্বর্ণালংকার মিলল গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে

মানিকগঞ্জ: র‌্যাব পরিচয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জামশায় এলাকা থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে লুট করা ৯৫ ভরি সোনার গহনার মধ্যে ৪৮ ভরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরিদপুর সদরের রঘুনন্দনপুর এলাকার সিদ্দিক শেখ (৫০) ও রাজবাড়ী জেলার শ্রীপুর উপজেলার শাহ আলম মিয়া (৪৮)। তাদের মধ্যে বুধবার (১২ জুন) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জের কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে ডাকাত সিদ্দিক শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর ডাকাত শাহ আলম মিয়াকে রাজবাড়ীর শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আলম মিয়ার বসতবাড়ির গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়, গত ১ জুন ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হালদার (৩৮) ও তার দুই কর্মচারী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা আমতলা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে বাধন ফিলিং স্টেশনের সামনের পাকা রাস্তায় পৌঁছালে র‌্যাব পরিচয়ে আট/নয়জন তাদের গাড়িটি থামান। এরপর তারা র‌্যাবের আইডি কার্ড দেখিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হালদার ও তার কর্মচারীদের এবং অটোরিকশার চালককে মারপিট করেন। পরে ওই ব্যবসায়ীর চোখ বেঁধে তাদের ব্যবহৃত হায়েস মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার দক্ষিণ জামশা বাজার এলাকায় তারা যানজটে পড়েন। ডাকাত দলটির কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়েও গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন। এসময় সুমনের চিৎকারে টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন সম্রাট মৃধা (২৮), মিরাজুল শেখ (২৮) ও আমিজ উদ্দিন (৫২) নামে তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দেন। অন্যদিকে সুমনের সঙ্গে থাকা ৯৫ ভরি সোনার গহনা ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের গোলাইডাঙ্গা বাজার থেকে উত্তেজিত জনতা ফরিদপুরের মোহাম্মদ শামীমুজ্জামানকে (৪৫) আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের হেফাজতে নিয়ে ডাকাতিতে ব্যবহৃত হায়েস মাইক্রোবাসটি জব্দ করে। পরে সিংগাইর থানায় এ ব্যাপারে এজাহার করা হয়। এজাহার দায়ের করার পর পুলিশ সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার সিদ্দিক ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আলমের গোয়ালঘরের মেঝে খুঁড়ে লুণ্ঠিত স্বর্ণের মধ্যে একটি বারসহ বিভিন্ন ধরনের ৪৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বুধবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লুণ্ঠিত বাকি মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।