ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বিষয়ক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বিষয়ক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: সমাধানে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই গবেষণাগ্রন্থটির নাম ‘টি ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ: রিয়ালিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ (বাংলাদেশের চা শ্রমিক: বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ)।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গলে ব্রাত্যজন রিসোর্স সেন্টার (বিআরআই), সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিচার্জ সেন্টার (পিপিআরসি) এর যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠান শোভা লাভ করে।

গ্রন্থটিতে প্রান্তিক চা শ্রমিকদের অধিকার, বেতন-ভাতা, চা শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, কর্মপরিবেশ, চা বাগানে শ্রম আইনের প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ, মজুরি বৈষম্য, মজুরি, স্বাস্থ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা, সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। এতে নারী চা শ্রমিকদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন ‘সেড’ এর পরিচালক ফিলিপ গাইন। চা বাগান নিয়ে সেড’র এই নতুন প্রকাশনা ও পূর্বের আরও প্রায় ডজনখানেক প্রকাশনার সাথে সবাইকে পরিচিত করে ফিলিপ গাইন বলেন, বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান চা শিল্পের মালিকানায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী। এরকম স্মল হোল্ডিং-এর মডেল আছে শ্রীলঙ্কায়। এ ধরনের মডেল নিয়ে কী আমরা বাংলাদেশে কথা বলতে পারছি? তাহলে কীভাবে বৈষম্যের অবসান হবে!    

আলোচনা পর্বে নারীকণ্ঠ হিসেবে অধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা যৌনকর্মীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘পূর্বেও রাষ্ট্রের কাছে যৌনকর্মীরা তেমন সাহায্য পায়নি। ছাত্র-আন্দোলনের পরে এই কর্মীদের অবস্থা এখন আরও খারাপ। ভাসমান যেসব যৌনকর্মী আছে তারা এখন রাস্তায় কোথাও দাঁড়াতে পারে না, ছাত্র পরিচয়ের কেউ না কেউ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। উপার্জন তো ওদের কিছু লাগবে। এই পরিচয়ের কথা শুনলে অন্য কোনো চাকুরিতেও নিতে চায় না কেউ। কোথায় যাবে এরা?’

‘আমাদের মতো চা শ্রমিক, বিশেষ করে মাঠে কাজ করা এতো নারী চা শ্রমিকের কথা চিন্তা করে কী শ্রম আইনের সংশোধন হয়?’ এমন প্রশ্ন করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন (বিসিএসইউ)-এর জুড়ি ভ্যালীর সহ-সভাপতি শ্রীমতি বাউরি।

বক্তব্য রাখেন- কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মাহবুবুল হাসান, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্ত্রী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুয়েব আহমেদ চৌধুরী, চা শ্রমিক নেতা রাম ভোজন কৈরী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের (বাচাশ্রই) ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক  নৃপেন পাল,  মাখন লাল কর্মকার, পরেশ কালিন্দী, চা শ্রমিক নেত্রী জেসমিন আক্তার, মৌলভীবাজার হরিজন ঐক্য পরিষদ নেত্রী বাসন্তী, শ্রীমঙ্গল হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সুকন বাসফোর, হিজরা অধিকার কর্মী ইভান আহমেদ কথা, যৌনকর্মী বিশেষজ্ঞ রাজিয়া সুলতানা, চা শ্রমিক নেত্রী  শ্রীমতী বাউরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক: বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিরা। তারা নারী চা শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মজীবী নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা অবসানের নানান দিকগুলো নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
বিবিবি/এসএএইচ                        

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।