ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণের ১০ দিন পর মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ, আটক ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
অপহরণের ১০ দিন পর মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ, আটক ২ ডোবা থেকে কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

সাভার (ঢাকা): ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের ১০ দিন পর ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২২) নামে এক কলেজছাত্রের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব৷

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার মোজারমেলের স্টার্ন হাউজিং এলাকার একটি ডোবা থেকে ওই কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।  

আটক ময়েজ হোসেন ওরুফে পরানের (২২) বাড়ি মানিকগঞ্জে ও মো. সুমন মিয়া ওরুফে বাপ্পীর (২৩) বাড়ি বগুড়ায়। তারা দুইজনেই হৃদয়ের প্রতিবেশী।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৪ জানায়, ঘটনার হোতা পরান ও অপহৃত হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তি। পরান ও তার সহযোগী মো. সুমন মিয়া বাপ্পী এবং অপর দুইজন পলাতক আসামি আকাশ ও শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিল।

আটক পরান ও বাপ্পী

র‌্যাব আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে বিকেলে আসামিরা হৃদয়কে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা হৃদয়কে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা হৃদয়কে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তারপর হৃদয়ের মরদেহ বস্তাবন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। পরে আসামিরা আত্মগোপনের উদ্দেশে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়।  

র‌্যাব-৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান জানান, একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত হৃদয়কে উদ্ধার ও আসামিদের আটকের জন্য আশুলিয়ায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তারা অপহৃত হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার, অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত পরান ও বাপ্পীকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ১৮ মে , ২০২৩
এসএফ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।