ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান

মহিউদ্দিন মাহমুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান

দোহা (কাতার) থেকে: স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হওয়ার পরেও সেসব দেশকে বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশ এবং ট্রিপস (TRIPS) মওকুফের মতো সুবিধাগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ানোর বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে খুব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) ‘অ্যানহ্যান্সিং দ্য পার্টিসিপেশন অব লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্টিট্রিজ (এলডিসি) ইন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড রিজিওনাল ইনটিগ্রেশন’ শীর্ষক হাই-লেভেল থিমেটিক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হওয়ার পরেও একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেসব দেশকে বাজারে অগ্রাধিকামূলক প্রবেশ ও ট্রিপস মওকুপসহ এলডিসির জন্য নির্দিষ্ট সুবিধাগুলো সময় বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এলডিসি গ্রুপ ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে (ডব্লিউটিও)  এসব ইস্যুতে প্রস্তাবনা পেশ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ঐ প্রস্তাবগুলো খুব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোর প্রেক্ষাপটে।

শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য এবং দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন এ আমরা ২০৩০ এজেন্ডায় যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি সেগুলো অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য-সম্পর্কিত অবকাঠামো বাড়ানো ও উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগাতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কানেকটিভিটি, মানব মূলধন, বাণিজ্য-অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিশ্রুতিগুলো প্রাজ্ঞ, বাস্তবসম্মত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উৎপাদনশীল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো পরিকল্পিত হওয়া উচিৎ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় তার বক্তব্যে তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সফলতার কথা তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম সম্মেলনের এই হাই-লেভেল থিমেটিক এ গোলটেবিল বৈঠকের কো-চেয়ার ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট ইভারিসতে নোদেইশিমিই।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলন (এলডিসি-৫) উপলক্ষ্যে কাতার সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে শনিবার (৪ মার্চ) কাতার পৌঁছান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বুধবার (৮ মার্চ) দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এমইউএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।