ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেল প্রকল্প দুটি আঘাত সহ্য করেছে: শাহরিয়ার আলম

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
মেট্রোরেল প্রকল্প দুটি আঘাত সহ্য করেছে: শাহরিয়ার আলম শাহরিয়ার আলম

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, দুটি বড় আঘাত সহ্য করতে হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্পকে। এজন্য সময় বেড়েছে, খরচও বেড়েছে।

 

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ফেসবুক  পোস্টে এ কথা বলেন। কীভাবে মেট্রোরেল তৈরি হলো সেটাও জানিয়েছেন তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, একটা বড় প্রকল্পের পেছনে ছোট-বড় মিলিয়ে অনেক অনেক গল্প থাকে। কিছু গল্প তৈরিতে ছোটখাটো অবদান, স্বাক্ষী হবার সৌভাগ্য হয়েছে।

২০১৪ সালের চীন সফরের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ছিল জাপান সফর। জাপানি সহযোগিতার যতো প্রকল্প সবই সেই সফরের ফসল। সেখানেও গল্প আছে যা হয়তো কখনও বিস্তারিত বলা হবে না।

কিন্তু মেট্রোরেলের ডিজাইন এবং সমীক্ষার কাজ শুরুর পরপরই ঘটে গেল হলি আর্টিজানের হৃদয়বিদারক ঘটনা।

সব কাজ বন্ধ হয়ে গেল। সাতটি জাপানিজ পরিবারের সঙ্গে রোজা রেখে রাত এগারোটা থেকে পরদিন প্রায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তরের দীর্ঘ কাজটি ছিল আমার জীবনের কঠিন এবং উল্লেখযোগ্য কাজ। তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেটার বিস্তারিত বলা যাবে না। সাত জনের মধ্যে প্রায় সকলেই এই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

জাপানের যে কারো সফর স্থগিত হয়ে গেল। আমরা পথ খুঁজছি কীভাবে তাদের আস্বস্ত করা যায়, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায়। সিদ্ধান্ত হলো আমরাই জাপানে যাব। প্রয়াত শ্রদ্ধেয় অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব এবং আমি যাবো। পরে সিদ্ধান্ত হলো এবং আমরা মাঝে কিছুদিন সময় দিয়ে আমরা আলাদা আলাদা গেলাম, অনেক বৈঠক করলাম। তারপর তৃতীয় দেশেও সাক্ষাৎ অব্যাহত থাকল। তারা কাজ শুরু করলেন আবার জাপানে বসেই, যদিও তা সবার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল।

আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলো। তারপর এলো কোভিডের ধাক্কা। দুটি বড় আঘাত সহ্য করতে হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্পকে। সময় বেড়েছে, বেড়েছে খরচও।

প্রস্তাব করেছিলাম হলি আর্টিজানের জাপানিজ ভিক্টিমদের নামে স্টেশনগুলোর নামকরণ করতে। সব পরিবারের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফার্মগেট স্টেশনে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের। তারা কেউ শেষ দেখে যেতে পারলেন না। কিন্তু সেই রাতে গভীর শোকে মুহ্যমান কিছু কিছু পরিবার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন আবার আসার। গত সফরেও আমরা তাদের সকলের সঙ্গে দেখা করেছি। সামনের সফরেও হয়তো দেখা হবে।

তাদের সেই অবদানকে এইদিনে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।

প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে আরও একটি পোস্টে জানিয়েছেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও, ঐতিহাসিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত! সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে নিজের থেকে ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
টিআরিএসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।