শ্বশুরবাড়ি যেতে না যেতে কণা তুই এত মোট হয়ে গেছি! কী খাচ্ছি রে, মোটা হওয়ার ওষুধ নাকি? এই ধরনের কথা কণার মতো অনেক নারীকেই শুনতে হয় বিয়ের পর ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে। এ নিয়ে বন্ধু মহলে রসিকতাও কম হয় না।
বিয়ের পর নারী–পুরুষ উভয়েরই ওজন খানিকটা বাড়ে। তবে পুরুষের চেয়ে নারীর ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আড়াই গুণেরও বেশি। কেননা নারীদের শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক যত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়, পুরুষের তত পরিবর্তন আসে না। বিয়ের পরে ওজন বাড়ার বিষয়টিকে ইংরেজিতে ‘লাভ ওয়েট’ বলা হয়।
বিয়ের দিন সুন্দর দেখাতে অনেক নারী ডায়েট করেন। বিয়ের পর নারী–পুরুষ উভয়েরই খাদ্যাভ্যাসে বড় বদল আসে। সাধারণত বিয়ের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে দাওয়াতের পরিমাণ বেড়ে যায়। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে মজাদার খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
এদিকে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর নারী–পুরুষ উভয়েরই ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে জিনগত কারণও রয়েছে।
বিয়ের পর নারীদের নতুন বেশ কয়েকটি দায়িত্ব নিতে হয়। ফলে সংসার সামাল দিতে হয়। এতে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। যার কারণে নারীর ঘুমের ঘাটতি হয়। নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগে। অচেনা পরিবেশেও অনেকের ঘুম আসতে সমস্যা হয়, ঘুমের অনিয়মে ওজন বাড়িয়ে দেয়।
অনেক মেয়েই বিয়ের আগে ওজন নিয়ে বেশ সচেতন থাকে। তখন শরীরচর্চা ও ডায়েটে থাকেন কেউ কেউ। তবে বিয়ের পর সেই তাগিদ পুরোপুরি চলে না গেলেও, বেশির ভাগের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কমে যায়। জীবনসঙ্গী পাওয়ার পর তারা নিজের চেহারার যত্ন নেওয়া কমিয়ে দেন। কেউ আবার সময়ের অভাবে শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
এ সময় নারী শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করে। এর সঙ্গেও স্থূলতার যোগাযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর নারীদের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে জিনগত। দেখা গেছে, যে নারীদের মায়ের ওজন বিয়ের পর বেড়েছে, তাদের মেয়েদের মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা চোখে পড়েছে।
স্থূলত্ব মানেই শরীরে বাসা বাঁধবে হাজার রোগব্যাধি! তাই বিয়ের পর নারীদের উচিত স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা করা। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
এএটি