ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ভিন্ন চোখে বিশ্ব ইজতেমার কিছু বিষয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
ভিন্ন চোখে বিশ্ব ইজতেমার কিছু বিষয় ভিন্ন চোখে বিশ্ব ইজতেমার কিছু বিষয়

রোববার (১৪ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার মাঠে মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগি করে ও বয়ান শুনে সময় পার করছেন।

ইজতেমা নিয়ে রয়েছে মানুষের গভীর আগ্রহ। সেই আগ্রহ ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাতে শরিক হন প্রচুর মানুষ।

ইজতেমার নানা প্রসঙ্গ নিয়ে এই লেখা।  

মহিলাদের অযাচিত অংশগ্রহণ
দাওয়াত ও তাবলিগের কাজে নারীদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা- মাসতূরাত জামাত। নারীরা সেই পদ্ধতিতে লাভ করতে পারেন একজন দাঈর সওয়াব। তাছাড়া বাড়িতে তালিমের মজলিস করে চালাতে পারেন দাওয়াতি কার্যক্রম। বাড়িতে বসেই দোয়া করতে পারেন বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া লাখ লাখ মুসুল্লিদের জন্য।

কিন্তু ইদানিং দেখা যায়- নারীরা পর্দাবিহীন হয়ে লাখো পুরুষের ভিড়ে ছুটে আসেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। মোনাজাতে শরিক হওয়ার জন্য তারা ইসলামের ফরজ বিধান পর্দা ছেড়ে দিচ্ছেন। অথচ এই দোয়ায় অংশগ্রহণ করা কোনো ইবাদত নয়। তাই মোনাজাতে আসার ব্যাপারে তাদের ব্যতিব্যস্ত হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছেন ইসলামি স্কলাররা।  

বানান নিয়ে মতভেদ
ভাষার প্রতি অবহেলা কোনো ক্ষেত্রেই কাম্য নয়। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম মিলনমেলা বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তো নয়ই। ইজতেমা শব্দটি আরবি হওয়ায় কয়েক ধরণের বানানে লেখা হচ্ছে। ইজতেমার মাঠ ও তার আশেপাশে ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন সাইনবোর্ড, গেইট ও প্ল্যাকার্ডে কয়েক ধরণের বানান শোভা পাচ্ছে। দৃষ্টিকটূ এসব বানানের মধ্যে রয়েছে- ইজতেমা, ইজতিমা, এজতেমা, ইস্তেমা, এস্তেমা ইত্যাদি চোখে পড়েছে।

ইজতেমার বিভিন্ন রকম বানান ভাষার প্রতি যেমন অবজ্ঞা প্রদর্শন তেমনি মূর্খতারও প্রকাশ। শিক্ষিত মানুষের কাছে বিভ্রান্তিও বটে। তাই বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক বিষয়ে আরও সচেতনতার প্রত্যাশা বিশিষ্টজনের।

ভিক্ষুকদের উৎপাত
ভিক্ষাবৃত্তিকে বলা হয় বিনাপুঁজির ব্যবসা। যেখানে ইনকাম ট্যাক্সের কোনো ঝামেলা নেই, লোকসান বা মূলধন হারানোরও কোনো আশংকা নেই। ইজতেমা ময়দানে আসলে দেখা যায় নানাপ্রজাতির ভিক্ষুক। অদ্ভুত আর হরেক রকম ভঙ্গিতে চলে তাদের ডিউটি। অফিস টাইম পার হয়ে গেলেও অতিথি পাখির মতো ইজতেমার প্রবেশপথগুলোতে দেখা যায় তাদের সদলবল উপস্থিতি। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসুল্লিদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বিদেশি মেহমানরা বিব্রতবোধ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিক্ষুকদের সরিয়ে দিলেও নাছোড়বান্দা এসব ভিক্ষুক নানান কায়দায় আবারও রাস্তায় অসুবিধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বিদেশি কাউকে দেখলেই তাদের চাওয়ার গতি বেড়ে যায়। হাতে-পায়ে ধরে নাজেহাল করে ছাড়ে।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে পছন্দ করে না। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, ইজতেমা চলাকালীন সময়ে ময়দানের আশপাশ থেকে ভিক্ষুকদের সরিয়ে দেওয়া হোক। এদের উৎপাত বন্ধ করে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হোক।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।