ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরাইল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
ইসরাইল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক

আগরতলা(ত্রিপুরা): ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে, বৃহস্পতিবার(৬ ফৃব্রুয়ারি), ভারতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক করলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

এই বৈঠক শেষে রাতে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লিখেন-ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড. রন মলকারের সঙ্গে ইজরায়েল ও ত্রিপুরার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পানি ব্যবস্থাপনা, সুরক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং, হিমঘর, প্রযুক্তি বিনিময়, সাংস্কৃতিক ও পর্যটনের প্রসার এবং কৃষি ও ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবস্থাপনা।

ড. রন মলকার ত্রিপুরা সম্পর্কে নিজের উৎসাহ প্রকাশ করে, শিগগির তার দল নিয়ে ত্রিপুরায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেচের অভাবে কৃষিক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ক্ষুদ্র-সেচ, পানিধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সেচ, মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণ, সৌর পাম্প, নিকাশী ব্যবস্থা, পানির পুনঃব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এই সকল বিষয়ে ইজরায়েলের সহযোগিতা চেয়েছেন। যার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাবার পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ত্রিপুরার মানুষ উপকৃত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন যে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতিতে প্রযুক্তি বিনিময়, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উভয় দেশ সহায়তা পেতে পারে। যার মধ্যে মাংসহীন, চিনি বিহীন জৈব খাবারের মতো উদ্ভাবনী পণ্যগুলির বিকাশ সম্ভব, যার বিশ্বব্যাপী বাজার রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, হিমঘর, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং বিপণনে বিনিয়োগের অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিও তুলে ধরেন। বলেন স্থানীয় জনগণের কাছে পুঁজির অভাব, বিনিয়োগকারীদের অভাব এবং প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং, সংরক্ষণ ইত্যাদির অভাব রয়েছে। যা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বৃদ্ধি রোধ করে।

কৃষিক্ষেত্রে ও উদ্যানক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সুরক্ষিত চাষাবাদ, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা এবং ফসল কাটার পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিকাশে ইজরায়েল থেকে সহায়তার সুযোগ রয়েছে। সবকটি ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এসসিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।