ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘ট্রাম্প অসত্য বলেন, তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
‘ট্রাম্প অসত্য বলেন, তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মাইকেল কোহেন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ‘দুই নারীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবৈধ সম্পর্ক আছে- নির্বাচনের আগে এমন গোপন তথ্য চাপা দিতে তিনিই আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার এ নির্দেশেই নির্বাচনী প্রচারের আগে আর্থিক নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের অর্থ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আসলে ট্রাম্প সত্য কথা বলেন না। তার কথা যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্ববাসী বিশ্বাসও করে না।’

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) আর্থিক নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই বলেন। এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এতে কোহেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্প জানতেনও যে নির্বাচনের আগে আমাকে যা করাচ্ছেন, তা অন্যায়-অবৈধ। তারপরও তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দুই নারীকে অর্থ দিতে। কেননা, তাদের মুখ বন্ধ করা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন ট্রাম্প। আর এখন তিনি দাবি করছেন, আইন ভঙ্গ করতে কখনও তিনি আমাকে নির্দেশ দেননি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি না যে এটা কেউ বিশ্বাস করবে। তাছাড়া ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে তাকে না জানিয়ে আমি কিছু করিনি। তিনিই আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার এ নির্দশেই আমি দুই নারীকে অবৈধভাবে অর্থ দিয়েছিলাম।

অপরদিকে ট্রাম্প বলছেন, অমি কখনও কোহেনকে আইন ভঙ্গ করতে বলিনি। তিনি আইনজীবী। তার আইন বিষয়ে সব জানা। আমাকে বিব্রত করার উদ্দেশেই এটা করা হচ্ছে।

তবে কোহেন ট্রাম্পের এ কথাকে অসত্য দাবি করে বলছেন, নির্বাচনের আগে দুই নারীকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন ট্রাম্প। তার এ চিন্তা দূর করতেই তাদের অর্থ দেওয়া হয়। আর এখন তার অবৈধ কাজের দায় নিতে হচ্ছে আমাকে। যা দুঃখজনক।

২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের প্রচারণা নির্বিঘ্ন রাখতে আর্থিক নিয়ম ভঙ্গ করে দুই নারীকে অর্থ দিয়েছিলেন মাইকেল কোহেন। এরপরই নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের প্রসিকিউটররা এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিশংসন করার মতো অপরাধ করেছেন। এছাড়া তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে এ অপরাধের কারণে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।