যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের পর এক সপ্তাহ না যেতেই আবারো লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের দুটি গ্রামে চালানো এ হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হন।
যদিও চুক্তি লঙ্ঘন করে হিজবুল্লাহই প্রথম ইসরায়েলি সেনা চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ওই হামলার জবাব হিসেবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কিছু অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হয় বলে জানায় তারা।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর রাখতেই এটি করতে হয়েছে বলে দাবি করেন আইডিএফ কর্মকর্তারা।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্য ইসরায়েলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছে যে, লেবাননে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েলই প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।
ওই হামলায় প্রাণহানি ও ক্ষয়-ক্ষতির জবাবে প্রতিরক্ষামূলক সতর্কতা হিসেবেই ইসরায়েলি একটি সেনা চৌকি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের মাউন্ট ডোভ এলাকায় চালানো হেজবুল্লাহর ওই হামলায় যদিও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হিজবুল্লাহর হামলাকে “যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন” হিসাবে বর্ণনা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েল “শক্তভাবে” এ হামলার জবাব দেবে বলেও হামলার ঘটনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন তিনি।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সম্প্রতি তারা সরাসরি যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭ নভেম্বর দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, হিজবুল্লাহ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে জবাবে পাল্টা হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তার দেশ।
এরপর সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলার যে ঘটনা ঘটল, তাতে আবারও সংঘাতমত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
আরএইচ