ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে অবিক্রিত খাবার ফেলে দেওয়া নিষেধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬
ফ্রান্সে অবিক্রিত খাবার ফেলে দেওয়া নিষেধ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেস্টুরেন্ট ও সুপারমার্কেটগুলোয় ‍অবিক্রিত খাবার ফেলে দেওয়া হয়। বাস্তবতা তখনই সবাইকে নাড়া দিয়ে যায়, যখন কোনো চিত্রগ্রাহকের তোলা ছবিতে ডাস্টবিন থেকে সেই ফেলে দেওয়া খাবার তুলে খেতে দেখা যায় কোনো অনাহারীকে।

তারপরও নিরব থেকে যায় সবাই।

তবে ফরাসি সরকার এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম এক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে রীতিমত আইন করে অবিক্রিত খাবার ফেলে দেওয়া বা নষ্ট করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পরিবর্তে বিভিন্ন চ্যারিটি ও ফুডব্যাংকে খাবারগুলো দান করে দিতে হবে সুপারমার্কেটগুলোকে। আর এসব চ্যারিটি ও ফুডব্যাংকের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাবে অনাহারী মানুষের দরজায়।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে আইনটি পাস হয়। পিটিশনটি করেছিলেন প্যারিস কাউন্সিলর আরাশ দেরামবার্শ।

চারশ বর্গমিটার বা তদুর্ধ্ব আয়তনের যেকোনো সুপারমার্কেটের ক্ষেত্রেই আইনটি প্রযোজ্য হবে। শুধু অবিক্রিত খাবার ফেলে দেওয়া বা নষ্ট করা নিষিদ্ধ করেই থেমে থাকেনি ফ্রান্সের সিনেট। অমান্যকারীর জন্য কঠোর সাজার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এ আইনে।

আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ইউরো (৮৭.৩৯ টাকায় এক ইউরো হিসাবে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা) জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে এতে।

ব্যাংকুইস আলিমেনটাইর্স নামের একটি ফুডব্যাংক-এর কর্মকর্তা জ্যাকুইস বেইলেত একটি সংবাদমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেছেন, আইনটি পাস হওয়ায় সুপারমার্কেটগুলোর সঙ্গে এখন একযোগে কাজ করার সুযোগ বাড়লো। অনাহারী জনগোষ্ঠীকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, পুষ্টি চাহিদা পূরণে বরাবরই আমিষ, ফল ও সবজি জাতীয় খাবারের সংকট থেকে যাচ্ছে। এবার এসব চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করছি।

এদিকে, শুধু ফ্রান্সেই আইনটি পাস করিয়ে থেমে থাকতে চান না কাউন্সিলর আরাশ দেরামবার্শ। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো দেশেই এ ধরনের আইন প্রণয়নে চেষ্টা চালাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

তার ভাষায়, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মাধ্যমে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লড জাঙ্কারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে ইইউয়ের পুরো ব্লককেই এ আইনের আওতায় আনা যায়।

তিনি আরও বলেন, এটা কেবল লড়াইয়ের সূচনা। রেস্টুরেন্ট, বেকারিজ, স্কুল ক্যান্টিন ও কোম্পানি ক্যান্টিনগুলোয় খাবার অপচয়ের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।