মিয়ানমারে যুদ্ধরত আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে, গত রোববার রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে জান্তা বাহিনীর শেষ ঘাঁটি দখলের সময় তারা কয়েকশ জান্তা সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে জান্তা সরকারের কুখ্যাত এক শীর্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেলও রয়েছেন।
বুধবার আরাকান আর্মি এমন ঘোষণা দেয়। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানায়, তারা মংডু শহরের বাইরে জান্তা বাহিনীর শেষ ইউনিট ৫ নম্বর সীমান্তরক্ষী পুলিশ ব্যাটালিয়নের ঘাঁটিতে গত ১৪ অক্টোবর হামলা চালানো শুরু করে। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতি এমনটি জানায়।
কঠোরভাবে সুরক্ষিত ওই ঘাঁটিতে সাতশর বেশি জান্তা পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য মোতায়েন ছিলেন। তাদের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) রোহিঙ্গা যোদ্ধারাও ছিলেন।
জান্তার বিমান হামলার মধ্যেই ৫৫ দিনের যুদ্ধ শেষে রোববার আরাকান আর্মি রোববার ঘাঁটিটি দখল করতে সমর্থ হয়। তারা জানায়, জান্তা বাহিনীর পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুন তাদের হাতে আটক হয়েছেন।
থুরিন ছিলেন রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর অপারেশন কমান্ডের অধিনায়ক। তার সঙ্গে প্রায় ৮০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ অন্যান্য জান্তা সেনা ছিলেন, যারা ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।
জেনারেল থুরিন তুন ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কুখ্যাত।
তিনি সেখানে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর সেন্ট্রাল মিলিটারি কমান্ড সদর দপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে আটক বিরোধী কর্মীদের নৃশংস নির্যাতনের তত্ত্বাবধান করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জান্তা বাহিনীর পক্ষে লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বেও নিযুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
আরএইচ