ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজাবাসীকে ১২ দিনের খাবার-পানি দিচ্ছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
গাজাবাসীকে ১২ দিনের খাবার-পানি দিচ্ছে জাতিসংঘ

দখলদার ইসরায়েলিদের হামলায় ‘ভেঙে পড়া’ গাজায় খাবার-পানি পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য তাদের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা এ উদ্যোগ নিয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় তাদের স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে সহায়তায় তাদের কাছে দুই সপ্তাহেরও কম খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে।

সংস্থাটির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনিফার অস্টিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের খাবার ও পানির জন্য ১২ দিনের জন্য সরবরাহ রয়েছে। রাস্তা অবরুদ্ধ, আমাদের টেলিফোন লাইন নেই, বিমান হামলায় আমাদের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী ঘটছে তা জানা আমাদের পক্ষে সত্যিই কঠিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সেসব কর্মীদের ওপর নির্ভর করছি যারা নিজেরাই উদ্বাস্তু। যারা একটি পরিষেবা প্রদানের জন্য বাইরে যাচ্ছে। সত্যিই নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা।

এদিকে জ্বালানির অভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ। সেখানকার সরকারি গণমাধ্যম থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা একটি আসন্ন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। জ্বালানি হ্রাসের কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। রাফাহ থেকে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে জেনারেটর দিয়ে আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সেবা দেওয়াও অসম্ভব। গাজা উপত্যকাকে জীবনের সমস্ত উপায় সরবরাহ করার প্রয়োজন; এ বিষয়টি যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভুলে না যায়।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাস্ত্যুচ্যুত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের ৮৩টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে দেড় লাখের বেশি বাসিন্দাকে। গাজায় বিতরণ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এই সপ্তাহে জাতিসংঘের রেশন পাননি।

হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৯৭৪ জন। ইসরায়েলে মারা গেছে ১২০৮ জনেও বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।