ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টাইটানিকের এমন ছবি দেখা যায়নি আগে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
টাইটানিকের এমন ছবি দেখা যায়নি আগে

আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার নিচে পড়ে থাকা ভাঙা টাইটানিক জাহাজের এমন ছবি এর আগে দেখা যায়নি। এই প্রথম পুরো জাহাজের বিরল দৃশ্য দেখা গেল।

খবর বিবিসি

গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং ব্যবহার করে এই ত্রিমাত্রিক দৃশ্য তৈরি করা হলো। দেখলে মনে হয় যেন জাহাজের চারপাশ থেকে সব পানি সরে গেছে। আর এতেই পুরো জাহাজটি দেখা যাচ্ছে।

১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটির সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার ক্ষেত্রে নতুন আলোর দেখা মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। প্রথম যাত্রাতেই এই বিপদে পড়ে জাহাজটি। এতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

টাইটানিক বিশ্লেষক পার্কস স্টিফেনসন বিবিসিকে বলেন, জাহাজ নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন, মৌলিক প্রশ্ন। সেগুলোর উত্তর প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মডেলটি টাইটানিকের গল্পকে প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণার দিকে চালিত করার প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি- এবং এটি অনুমান নয়।

১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তবে জাহাজটি পানির নিচে এতই অন্ধকারে যে, ক্যামেরা শুধুমাত্র জাহাজটির কিছু স্ন্যাপশট দেখাতে পেরেছে, একেবারে পুরো জাহাজটিকে নয়।  

স্ক্যানের মাধ্যমে জাহাজটির পূর্ণ অংশের চিত্র উঠে এসেছে। একেবারে টাইটানিকের পুরো ছবি দেখা গেছে। দুটি অংশে জাহাজটি সাগরতলে পড়ে রয়েছে। ৮০০ মিটারে সামনে ও পেছনের অংশে আলাদা হয়ে রয়েছে এটি। আশপাশে রয়েছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।

২০২২ সালের গ্রীষ্মে মেগেলান লিমিটেড নামে গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন টাইটানিক জাহাজটি স্ক্যান করে। তারা এই প্রজেক্ট নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করছে। বিশেষজ্ঞদের জাহাজে থাকা একটি দল সাবমার্সিবল ব্যবহার করে ২০০ ঘণ্টা সময় ধরে টাইটানিকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর জরিপকাজ চালায়।

প্রতিটি কোণ থেকে সবমিলিয়ে তারা ৭০ হাজারেরও বেশি ছবি নিয়ে যথাযথ ত্রিমাত্রিক দৃশ্য তৈরি করে।

এই অভিযানের পরিকল্পনার নেতৃত্বে থাকা মেগেলান প্রতিষ্ঠানের গেরহার্ড সেইফার্ট বলেন, আমার করা পানির নিচে স্ক্যানিং প্রজেক্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় এটি।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রায় চার হাজার মিটার গভীরে এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। সেখানে স্রোত  আছে। ভাঙা অংশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করে দেখার অনুমতি ছিল না।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি বর্গসেন্টিমিটারের মানচিত্র তৈরি করতে হয়েছিল। তা না হলে পুরো জাহাজের চিত্র তুলে ধরা সম্ভব ছিল না। কাদায় ডুবে থাকা ধ্বংসাবশেষের স্ক্যান করা ছিল খুব কষ্টকর।

এই স্ক্যানের মাধ্যমে জাহাজের দুটি মাপই দেখা যায়। কিছু বিষয় বিশদভাবে দেখা যায়। এর মধ্যে একটি হলো প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বর।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।