ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইমরানের গ্রেপ্তারে পাকিস্তানিদের একাত্তরের বোধোদয়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
ইমরানের গ্রেপ্তারে পাকিস্তানিদের একাত্তরের বোধোদয়!

ইমরান খানের পর এবার গ্রেপ্তারের মুখে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা। এতে বিক্ষোভে-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তান জুড়ে।

দলটির সমর্থকরা হামলা করেছেন সেনানিবাসেও।

চলমান বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে আটজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার ও দেশটির চলমান অস্থিরতায় সামরিক বাহিনীর সমালোচনায় মুখর নেটিজেনরা। আর সমালোচনা করতে গিয়ে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন ১৯৭১ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশকে নিয়ে নানা পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানি সোশাল মিডিয়ায়।

তাহির রিয়াজ নামের এক প্রবাসী পাকিস্তানি তার ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের বাংলাদেশি ভাইদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা চাইতে দায়বদ্ধ। ১৯৭১ সালের ঘটনার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করা হৃদয়বিদারক। তখন কর্তৃত্ববাদীরা পূর্ব পাকিস্তান হারিয়েছে, এবং এখন তারা পাকিস্তানি  জনগণকে হারিয়েছে!’

আরেকটি পোস্টে তিনি বঙ্গবন্ধু ও ইমরান খানের ছবি ব্যবহার করে একটি কার্ড বানিয়েছেন। যার শিরোনামে লিখেছেন ‘দে জা ব্যু’, যার অর্থ অতীতের পুনরাবৃত্তি।

সেই ছবির পোস্টে লিখেছেন, ‘১৯৭১ সালের মার্চে শেখ মুজিব যখন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে, তখন (এর বিপরীতে) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সহিংস দমন প্রতিক্রিয়া অনুসরণ করে। মুজিবকে বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। এই সময়কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্রিয়াকলাপগুলো আজকের মতোই ছিল। আর সেটা হলো- ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা। ’

করাচির বাসিন্দা জেইন গুপ্লানি তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আপনি মনে করেন তিনি (শেখ মুজিব) ভিলেন ছিলেন! আপনি কি মনে করেন, তিনি পাকিস্তান ভেঙে দিয়েছেন? এটা আমাদের জানার সময় এসেছে যে, আমাদের বাঙালি ভাইয়েরা কখনই আমাদের (পাকিস্তানি জনগণকে) ঘৃণা করেনি। তারা কখনো পাকিস্তান মুর্দাবাদ বলে চিৎকার করেনি। শেখ মুজিব গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা ছিলেন! (তাহলে) খলনায়ক কে ছিল অনুমান করুন?’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।