ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভ্রমণের কোনো বয়স নেই, প্রমাণ করলেন ৮১ বছরের দুই বান্ধবী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
ভ্রমণের কোনো বয়স নেই, প্রমাণ করলেন ৮১ বছরের দুই বান্ধবী ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দুই বান্ধবী প্রমাণ করছেন রোমাঞ্চকর ভ্রমণের কোনো বয়স সীমা নেই। এমনকি আপনার বয়স যখন ৮১, তখনও সেটি সম্ভব।

তাদের একজন হলেন এলি হামবি। যিনি একজন তথ্যচিত্র পরিচালক। আরেকজন হলেন স্যান্ডি হ্যাজেলিপ। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। তারা ইন্দোনেশিয়ার বালির সমুদ্র সৈকত থেকে মিশরের মরুভূমি পর্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ করে ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন।

৮১ বছর বয়সী দাদিরা গত ১১ জানুয়ারি তাদের উচ্চাভিলাষী দুঃসাহসিক ভ্রমণ শুরু করেছিলেন। দুই বান্ধবীর ব্যবহারকারী ব্লগ থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

তাদের অভিযানের প্রথম স্টপেজ ছিল অ্যান্টার্টিকার এমন একটি স্থান, যে স্থানটি অনেক পাকা ভ্রমণকারীরাও এড়িয়ে যায়। এটি ছিল অনেক দুর্গম।

সবচেয়ে দক্ষিণের এ মহাদেশে যেতে হলে ড্রেক প্যাসেজ পার হতে হয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও অ্যান্টার্টিকার সাউথ শেটল্যান্ড আইল্যান্ডসের মধ্যে তীব্র খরস্রোতা এ করিডরের অবস্থান।

হামবি বলেন, বিরূপ অবস্থার মধ্যে খরস্রোতা করিডর পার হতে আমাদের দুই দিন লেগেছিল। অবস্থা এমন ছিল যে মনে হচ্ছিল, জীবনকে হাতে নিয়ে আমার পার হয়েছি। অতিক্রান্ত পথ ছিল অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা অ্যান্টার্টিকার মাটিতে পা রেখেছিলাম, তখন সব কষ্ট ভুলে গেলাম। তখন শুধু অ্যান্টার্টিকার অসাধারণ সৌন্দর্য পেঙ্গুইন, হিমশৈল, হিমবাহ সবকিছু মিলিয়ে অন্য রকম অনভূতির কথা স্মরণ হচ্ছিল।

সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের যাত্রা থেকে শুরু করে দুই বান্ধবী সাতটি মহাদেশের ১৮টি দেশ ঘুরেছেন। দুই বান্ধবী একই রকম টি–শার্ট পরতেন। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অনুসারীদের সীমাহীন ভালোবাসা পেয়েছেন তারা।  

স্যান্ডি বলেন, ১৯৯৯ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর হামবির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সেটি দক্ষিণ আফ্রিকায় আমার স্বামীর পরিচালিত জাম্বিয়া মেডিকেল মিশনে। মৃত্যুর আগে আমার স্বামী গ্রীষ্মে নাতিদের ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতেন।

এ মিশনই হামবি ও স্যান্ডির গভীর বন্ধুত্ব গড়ে দেয়। তারা পরস্পরের সঙ্গে নিজেদের ভ্রমণের আগ্রহের কথা বলতেন। ২০০৫ সালে হামবির স্বামীর মৃত্যুর পর দুজনের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়।

স্যান্ডি বলেন, আমাদের ভ্রমণের ধারণাটি উভয়ের ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার কয়েক বছর আগে থেকে শুরু হয়েছিল।

হামবি বলেন, আরও আগেই আমাদের বিশ্বভ্রমণে বের হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। কোভিডের দাপট কমতেই আমরা ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ি।

লন্ডন, জাঞ্জিবার, জাম্বিয়া, মিশর, নেপাল, বালি এবং ভারত ঘুরে ৮০ দিনের বিশ্বভ্রমণ শেষে সম্প্রতি টেক্সাস ফিরে গেছেন হামবি ও স্যান্ডি।  

সূত্র: সিএনএন
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।