ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধি: আতঙ্কে কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধি: আতঙ্কে কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

কেন্দ্রীয় বাজেটে সোনার শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, সোনার বারের আমদানি শুল্ক বাড়বে। অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।

আকাশছোঁয়া দামে সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের পকেটে আরও টান পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার বাজারে ১০ গ্রাম পাকা সোনার (২৪ ক্যারেট) দাম ছিল ৫৮,৫৫০ টাকা। ১০ গ্রাম গয়না সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৫৫,৫৫০ টাকা। বাজেটের ঘোষণার পরে এই দাম আরও কতটা বাড়বে, এখনই নির্দিষ্ট করে ব্যবসায়ীরা জানাতে না পারলেও তা ৬০ হাজার ছুঁয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। আর এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের।

বাজেটের ঘোষণা শুনেই সোনার দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় আগেভাগে বাড়ির বিয়ের কেনাকাটা করতে বৌবাজারে এসেছিলেন মানিকতলার শ্যামল শিকদার। দোকানে গয়না দেখতে দেখতে বললেন—ভেবেছিলাম, বাজেটে সোনার দামে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। সে জন্য কিছু দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, সেসব তো কিছুই হলো না। বরং বাজেটের ঘোষণায় উল্টোটাই হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি সোনা কিনতে চলে এলাম।

তবে শুধু ক্রেতারাই নন, এ দিনের বাজেটের ঘোষণা চিন্তা বাড়িয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরও। বৌবাজারের এক সোনা ব্যবসায়ী পলাশ পাল বলেন, এমনিতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোনার ব্যবসার হাল খারাপ। দোকানে ক্রেতা প্রায় দেখাই যাচ্ছিল না। এখন যা হলো, তাকে বলা ভালো—কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিল। গোটা শিল্পটাই হয়তো শেষ হয়ে যাবে!

একই আশঙ্কার কথা শোনালেন শহরের এক স্বর্ণ বিপণি সংস্থার বৌবাজার শাখার ম্যানেজার প্রণব চন্দ্র। তিনি বলেন, সকলের পক্ষে এত দাম দিয়ে সোনা কেনা সম্ভব নয়। উপহার হিসাবে সোনা দেওয়ার রেওয়াজ এবার কমবে বলেই মনে হচ্ছে।

‘স্বর্ণশিল্পী বাঁচাও কমিটি’র কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, যেকোনো কেনাকাটারই একটা নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ থাকে। দাম বাড়লে হয় সেই বরাদ্দ বাড়বে, আর না হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাতেই কম পরিমাণ সোনা কিনবেন ক্রেতা। আবার সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমলে কারিগরদের কাজ হারানোর আশঙ্কাও বাড়বে। ফলে সমস্যায় পড়লেন স্বর্ণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার কর্মী।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।