ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় হচ্ছে ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক’

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
ত্রিপুরায় হচ্ছে ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক’

আগরতলা (ত্রিপুরা): নবজাতক শিশুদের মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। সঠিক পরিমাণে এ দুধ পানে শিশুর বেড়ে ওঠা ও বিকাশ ঘটে।

 

তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ শিশুদের যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ পান করানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব শিশুদের কথা চিন্তা করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক’ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ত্রিপুরার অন্যতম ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে (আইজিএম) এ ব্যাংক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিধায়ক ও আইজিএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার দাস।

তিনি বলেন, মায়ের বুকের দুধের কোনো বিকল্প নেই। তাই তারা অভিভাবকদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে দেন শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে বুকের দুধ পান করাতে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যেমন, মায়ের পর্যাপ্ত দুধ না থাকা, অনেক ক্ষেত্রে কোনো কারণে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মায়ের মৃত্যুর জন্য কিছু কিছু শিশু মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু হলে সেই মায়ের দুধের প্রবাহ অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। এসব কারণে মায়েদের শরীরের দুধ জমে থাকলে নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এসব মায়েদের কাছ থেকে বুকের দুধ সংগ্রহ করে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। যেসব শিশুরা মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত তাদের এ দুধ খাওয়ানো হবে। তবে প্রতিদিন যে একই পরিমাণে মাতৃদুগ্ধ পাওয়া যাবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের কৃত্তিম প্রিজারভেটিভ ছাড়া গুণগত মান বজায় রেখে দুধ সংরক্ষণ করার জন্য এ ব্যাংক অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক’ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিশু ও মা উভয়েই উপকৃত হবেন।

তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে এগুলো সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে। এরপর বিশেষজ্ঞরা সংগৃহীত দুধের নমুনা পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট জমা দেবেন। পরে এগুলো শিশুদের খাওয়ানো হবে।

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় এ ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক’ তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. দিলীপ কুমার দাস।

পূর্ব ভারতের মধ্যে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ও বিশাল আকারে সরকারিভাবে তৈরি এমন একটি মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক রয়েছে। দ্বিতীয়টি তৈরি হচ্ছে ত্রিপুরায়। আইজিএম হাসপাতালের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বড় ও প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতেও একটি `মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক' তৈরি করা হবে বলেও জানান ডা. দিলীপ কুমার দাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।