ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরা সফরে বিভিন্ন দেশের সেনা কর্মকর্তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
ত্রিপুরা সফরে বিভিন্ন দেশের সেনা কর্মকর্তারা

আগরতলা (ত্রিপুরা): দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেনাবাহিনীর ১৭ জন কর্মকর্তার এক প্রতিনিধি দল সাত দিনের ত্রিপুরা সফরে এসেছেন।

 

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) তারা আগরতলা এসে পৌঁছান। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন শুরু করেন। এই প্রতিনিধি দলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, মরক্কো ইত্যাদি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তারা রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তারা উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছালে ত্রিপুরা সরকারের উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া এবং সহ-অধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষ তাদের ফুলের তোড়া এবং উত্তরীয় পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান। তারপর গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে তাদের আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানান ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া। এসময় ড. রাজীব ঘোষ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গবেষণা কেন্দ্রে উৎপাদিত আলুর দানা বীজের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।  

নাগিছড়ার এই উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেখানে আলুর দানা বীজ তথা ট্রু পটেটো সিড উৎপাদন করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

সভাকক্ষের আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা চলে যান আলুর দানা বীজ উৎপাদন প্লটে। সেখানে তারা দেখেন কীভাবে দক্ষ শ্রমিকরা পুরুষ ও স্ত্রী ফুলের মধ্যে পরাগায়নের সাহায্যে আলুর দানা বীজ উৎপাদনের কাজ করছেন। তারা নিজেরা গোটা প্লট ঘুরে দেখেন। আলুর ফুল থেকে টমেটোর মত ফল ধরা এবং তার ভেতরে বীজ দেখে প্রতিনিধিরা বিস্মিত হন।  
 
তাদের এই পরিদর্শনের বিষয়ে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১৭ জনের প্রতিনিধি দল এখানে এসে গবেষণা কেন্দ্র দেখেছেন। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যেই আলুর দানা বীজ উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তি দেখতেই তারা এখানে এসেছেন এবং তা দেখে প্রশংসা করেছেন, এটা গবেষণা কেন্দ্রের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তারা চলে যান বন দপ্তরের একটি প্রকল্প ঘুরে দেখতে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবেন এবং পরে দিল্লি ফিরে যাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এসসিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।