.jpg)
কক্সবাজার: দেশের আশি থেকে নব্বই ভাগ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন করোনার প্রকোপ বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা গ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে হোপ মেটারনিটি অ্যান্ড ফিস্টুলা হাসপাতাল উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে দেশের মানুষকে করোনা টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এই পর্যন্ত দেশের আশি থেকে নব্বই ভাগ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছে। গত কয়েক দিনে করোনার প্রকোপ একটু বাড়লেও সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু একটু বেড়েছে। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়া নিয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ডেঙ্গু রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন। ডেঙ্গু রোগের হটস্পট কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা নজরদারি রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যাতে বাইরে ডেঙ্গু না ছড়ায় সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ডেঙ্গু বিস্তার রোধ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫০ বেডের হাসপাতাল এবং জেলা সদরে ২৫০ বেডের হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোতে এখন সাধারণ মানুষকে আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে নিশ্চিত করেছে সরকার। সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছেন।
আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি স্থাপন করেছে।
হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতেখার মাহমুদ মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ও রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মোস্তফা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এসবি/এসআইএ
