ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

'নন্দঘোষ' হতে চান না 'ক্লান্ত' মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
'নন্দঘোষ' হতে চান না 'ক্লান্ত' মেসি মেসি ও গ্রিজম্যান/ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসিকে যেন 'নন্দঘোষ' বানানোর পাঁয়তারা চলছে। যেকোনো ইস্যুতেই এখন তার দোষ খোঁজার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়।

ক্লাবের ব্যর্থতার দায় যেমন নিতে হয়, তেমনি আবার সতীর্থদের ব্যর্থতার দায়ভারও তার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে অনেকে। সবকিছু নিয়ে বেশ বিরক্ত আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এবার সোজা জানিয়ে দিলেন, সবকিছুর দায় নিতে নিতে ক্লান্ত তিনি।

সদ্যই আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলে স্পেনে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বিমানবন্দরে ফিরেই বিব্রতকর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো তাকে। আর সেই প্রশ্ন বার্সায় তার সতীর্থ আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে ঘিরে। তবে এবার আর এড়িয়ে যাননি মেসি। সোজা বলে দিলেন, 'সবসময় সবকিছুর দায় নিতে নিতে আমি ক্লান্ত। ' স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'মার্কা' এমনটাই জানিয়েছে।

সম্প্রতি গ্রিজম্যানের সাবেক এজেন্ট এরিক ওলহাটস দাবি করেন, বার্সায় মেসির একাধিপত্যের কারণে ফরাসি ফরোয়ার্ডের জীবন জেরবার হয়ে গেছে। ফ্রান্স ফুটবলের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ওলহাটস আরও দাবি করেন, ক্যাম্প ন্যুয়ে সব সিদ্ধান্তের পেছনেই মেসির হাত আছে।

ওলহাটস বলেন, 'গ্রিজম্যান এমন এক ক্লাবে গিয়েছে যেখানে মেসি একাই সব নিয়ন্ত্রণ করে। সে (মেসি) একইসঙ্গে সেখানকার সম্রাট এবং রাজা। সে গ্রিজম্যানের আগমনে মোটেই খুশি নয়। মেসির আচরণ দুঃখজনক। আমি প্রায়ই গ্রিজম্যানকে বলতে শুনি যে মেসির সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই, ঘটনা আসলে উল্টোটা। সেখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। হয় আপনি তার (মেসি) সঙ্গে নতুবা তার বিপক্ষে। '

গ্রিজম্যানের চাচা ইমানুয়েল লোপেসও দাবি করেন, মেসির জন্যই তার ভাতিজার ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে। তিনি বলেন, 'গ্রিজম্যান জানতো যে বার্সায় প্রথম ছয় মাস মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু আমি ভাবতেও পারিনি এটা বছর ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া মেসির সঙ্গে ক্লাবের অভ্যন্তরে যা হচ্ছে- তাতে এটা সহজ নয়। মূলত মেসি বার্সায় কঠোর পরিশ্রম করে না এবং অনুশীলনেও কাউকে কাউকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। '

'এল প্রাত' বিমানবন্দরে নামার পর সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নবাণ এড়িয়ে যখন গাড়ির কাছে পৌঁছালেন, মেসির মেজাজ তখন সপ্তাকাশে। কারণ বিমানবন্দরেই তার ও তার প্রাইভেট প্লেনের সকল ক্রুদের কাগজপত্র যাচাই করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্প্যানিশ ট্যাক্স এজেন্সির পাঁচ কর্মকর্তা।

এমনকি বার্সায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মেসিকে কাস্টমসে ট্যাক্স পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বার্সা অধিনায়ক বলেন, 'আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, ১৫ ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে এখানে এসে দেখি ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। '

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।