ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: ওজিল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: ওজিল

ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করলেন আর্সেনালের জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ওজিল লেখেন, 'ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ' তিনি পবিত্র কোরআনের আয়াত উদৃত করে লিখেছেন, 'যে ব্যক্তি কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল (আল-কোরআন, সুরাহ মায়েদা, আয়াত-৩২)।

ওজিলের এই পোস্টে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। কমেন্ট করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজারবার। প্রায় ২০ হাজারবার শেয়ারও হয়েছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস ইসলাম, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দেশের হয়ে আর খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার, সোমবার (২৫ অক্টোবর) এমন সংবাদ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলোর সূত্র ধরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নামকরা সংবাদপত্র দ্য সান এবং ফুটবলভিত্তিক ক্রীড়ামাধ্যম কিক অফ এই খবর প্রকাশ করেছে। তবে এমন ভুয়া খবরে বেজায় চটে যান পল পগবা।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে পগবা জানান, এসব অগ্রহণযোগ্য, ভুয়া সংবাদ। তিনি এমনকি ভুয়া সংবাদ প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান। তিনিও সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন।

ইন্সটাগ্রামে ভুয়া খবরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পগবা লিখেছেন, 'কোন কোন সংবাদ মাধ্যম 'ফরাসী জাতীয় দল ও আমার ধর্ম একসাথে মিশিয়ে ভুয়া খবর তৈরি করেছে। আমি সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমার ধর্ম শান্তি ও ভালোবাসার এবং এই ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে হবে। '

এদিকে মেসুত ওজিল আর্সেনালের স্কোয়াডে জায়গা হারিয়েছেন অনেক আগেই। তবে দলের বাইরে থাকলেও দাতব্য কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন গানারদের জার্মান মিডফিল্ডার।

সর্বশেষ উত্তর লন্ডনের ১১টি স্কুলে প্রতিদিন ১৪ শ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য একবেলার খাবার ব্যবস্থা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।  

এর আগে ১ লাখ গৃহহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন ওজিল। এছাড়া ১ হাজার শিশুর অস্ত্রোপচারের খরচও বহন করেছিলেন তিনি। এছাড়া গত রমজানে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার হাজারো মানুষের মধ্যে ইফতার বিলি করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।