ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

চলে গেলেন বিশ্বকাপ ডিজাইনার গাজ্জানিগা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৬
চলে গেলেন বিশ্বকাপ ডিজাইনার গাজ্জানিগা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ডিজাইনার সিলভিও গাজ্জানিগা আর নেই।  ৯৫ বছর বয়সে এ ইতালিয়ান ভাস্কর পরলোক গমন করেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট ‍জিয়ান্নি ইনফান্তিনো থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান অনেক ফুটবল তারকা।

এক সাক্ষাৎকারে গাজ্জানিগার ছেলে জর্জিও গাজ্জানিগা জানান, তার বাবা মিলানের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন, ‘আজকের সকালে তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। এটা ছিল শান্তির মৃত্যু। ’ অসুস্থতাজনিত কারণে সম্প্রতি গাজ্জানিগাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলেও নিশ্চিত করেন জর্জিও।

কর্মজীবনে ইতালির খ্যাতিমান ভাস্করদের একজন ছিলেন গাজ্জানিগা। বেশ কয়েকটি ফুটবল ট্রফি ডিজাইনে তার অবদান রয়েছে। যা মধ্যে আছে উয়েফা কাপ ও ওয়েফা সুপার কাপ। তাকে সবাই সবচেয়ে বেশি মনে রাখবেন ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি উদ্ভাবক হিসেবে।

১৯৭১ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ডিজাইন ও তৈরি করেন গাজ্জানিগা। সাতটি দেশের ৫৩টি ডিজাইন থেকে ফিফা বেছে নিয়েছিল গাজ্জানিগার ডিজাইনটি। যা পরে অনেক বিখ্যাত ফুটবলারদের হাতে ওঠে। তার আগে বিশ্বকাপ ট্রফির নাম ছিল জুলে রিমে ট্রফি।  যা ১৯৭০ সালে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে ধরে রাখে পেলের ব্রাজিল।

গাজ্জানিগার প্রয়াণে শোকাহত গোটা ফুটবল বিশ্ব। ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো বলেন, ‘ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি উদ্ভাবক সিলভিও গাজ্জানিগার কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে ফুটবল। তার মৃত্যুতে আমি খুবই ব্যথিত। তিনি এই ট্রফির উদ্ভাবক, যেটি অন্যতম সুন্দর প্রতীক। এটিকে পুরস্কার হিসেবে পাওয়াটা ফিফার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি তার পরিবারের কষ্টের সঙ্গে আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি। ’

গাজ্জানিগাকে স্মরণ করছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কাফু। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে ২০০২ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে উল্লাসের ছবির সঙ্গে নকশা সামনে রেখে ট্রফি হাতে হাস্যোজ্জ্বল গাজ্জানিগার একটি ছবিও পোস্ট করে টুইট করেছেন তিনি, ‘আজ আমি সিলভিও গাজ্জানিগার জন্য চিন্তা করছি। এই মানুষটা ট্রফি ডিজাইন করেছেন যা ফুটবলে আমার গর্বিত মুহূর্ত এনে দিয়েছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।