ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

চলছে অতিরিক্ত সময়ের লড়াই

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪
চলছে অতিরিক্ত সময়ের লড়াই

ঢাকা: প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা দ্বিতীয়ার্ধেও বহাল থাকলো। ফলে ফিফার নিয়মানুযায়ী খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

এ সময়ের গোল না হলে ট্রাইব্রেকার হবে দু’দলের মধ্যে।

নকআউট পর্বের এ খেলায় ম্যাচের ৮ মিনিটে পায়ে আঘাত পান আসরে চার গোল করা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার। স্বল্প সময় মাঠের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে আবারো মাঠে ফেরেন বার্সেলোনার এই তারকা ফুটবলার।

ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় চিলির প্রান ভোমরা খ্যাত সানচেজ। ৫০-৫০ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন নি বার্সেলোনার ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এর দুই মিনিট পরেই ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে নেইমারের শটটি রুখে দেন চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে ইচ্ছাকৃত হাত লাগানোর অপরাধে চিলির মেনাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। একই মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে সিলভার হেড থেকে পায়ে আলতো ছোঁয়ায় চিলির জালে বল জড়িয়ে দেন লুইজ। বাম পাশ থেকে এই কর্ণার কিক টি নিয়েছিলেন নেইমার।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে আবারো গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল ব্রাজিল। নেইমারের একক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় চিলির ডি বক্সে কোনো সতীর্থ না থাকায়। এর চার মিনিট পরে নেইমারকে আবারো অবৈধভাবে আঘাত করেন ভিদাল।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে সানচেজের গোলে সমতায় ফেরে চিলি। ভিদাল-ভার্গাসের কাছ থেকে পাওয়া বল অসাধারণ দক্ষতায় সানচেজ ব্রাজিলের জালে জড়িয়ে দেন। এর চার মিনিট পর ম্যাচের ৩৭ মিনিটে নেইমারের কর্নার কিক থেকে অস্কার-সিলভারা গোল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে নেইমারের একটি হেড পোস্টবারের পাশ দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারো গোল আদায় করে নিতে পারেনি নেইমারের পাস থেকে বল পাওয়া ফ্রেড। ফাঁকায় বল পেয়েও ফ্রেড গোলবারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে।

প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে আলভেজের নেয়া একটি শট ঠেকিয়ে গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো। এর দুই মিনিট পর আবারো জোড়ালো শটের অভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল চিলি। সানচেজের ক্রস থেকে বল পেয়ে অ্যারারাসগুইজ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি। দু’দলই গোল না পাওয়ার ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।

প্রথমার্ধে ৫৭ শতাংশ সময় চিলির পায়ে বল ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে যায় দুই দল। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ব্রাজিলের ফার্নাদিনহোর একটি জোড়ালো শট বারের পাশ ঘেশে চলে যায়। তার শটটি ছিল গোলবারের ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে হাল্কের দেয়া গোলটি রেফারি বাতিল করে দেন। গোলবারে শটটি নেয়ার আগে হাল্কের হাতে বল লাগে। এরপরও তিনি গোল উৎযাপন করায় ফিফার নতুন অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন।

ম্যাচের ৬৫ মিনিটে সানচেজের দক্ষ একটি ক্রস থেকে আবারো অ্যারারাসগুইজ জুলিও সিজারকে ফাঁকি দিতে পারেন নি। ছোট পাসের এই অসাধারণ পারফর্ম থেকে গোল না পাওয়ায় বলা চলে চিলির জন্য হতাশার একটি মুহূর্ত।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে হাল্কের ক্রস থেকে পায়ে বল লাগাতে না পারলে গোলের একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে ৬৪ মিনিটে ফ্রেডের বদলি হিসেবে মাঠে নামা জো। ৮০ মিনিটে আলভেজের বাড়িয়ে দেয়া বল হেড করে জালে জড়াতে পারেন নি নেইমার। সরাসরি ব্রাভোর হাতে বল তুলে দেন নেইমার।

৮৪ মিনিটে হাল্ক, জোয়ের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ব্রাভো। নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দারুন ভাবে দলকে রক্ষা করেন চিলির হয়ে ৮২ ম্যাচ খেলা বার্সেলোনায় চুক্তি করা নতুন এই গোলকিপার।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আর কোনো গোল না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে খেলা মাঠে গড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।