ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

খুলনায় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
খুলনায় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম! ভোটার উপস্থিতি কম কেন্দ্রে, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: চলছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও খুলনার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

ঘড়ির কাটা সকাল সাড়ে ৯টা পেরোলেও তিন চারটি করে ভোট পড়েছে এক একটি কেন্দ্রে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে থাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে খুলনার ৮ উপজেলায়।

তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিশেষ করে বটিয়াঘাটা উপজেলার মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপসার নবীনগর ইসলামিক মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়ার খানাবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, তেলিগাতী প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি না থাকায় নির্বাচনী কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্টসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেকটা অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। অনেকে আবার গল্প করেও সময় পার করছেন।

তবে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রে দায়িত্বরতরা।

রোববার খুলনা জেলার ৯ উপজেলার ৮টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ মার্চ নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন ১০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যার কারণে রোববার ডুমুরিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
ভোটার উপস্থিতি কম কেন্দ্রে, ছবি: বাংলানিউজজেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও দাকোপে ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন।

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনার ৬৫ শতাংশ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন।

৮টি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৭৭টি। দূর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকা ও দূরবর্তী স্থান বিবেচনায় এর মধ্যে ২৯৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ আর ১৮৩টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যা মোট ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৬৫ শতাংশ।

খুলনা জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ওয়াস) আব্দুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, খুলনার ৮ উপজেলায় ২১ হাজার পুলিশ, ৪ হাজার ৬৯২ আনসার, ২৪ প্লাটুন বিজিবি , র‌্যাবের ১৮ টি পেট্রোল পার্টি ও ২০৭ জন কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করছেন।  

উল্লেখ্য, গত উপজেলা নির্বাচনে খুলনার নয়টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পায় আওয়ামী লীগ। ডুমুরিয়া ও পাইকগাছায় বিএনপি এবং কয়রায় জামায়াত প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এবার বিরোধী দল-মতের কোনো প্রার্থীই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

বাংলাদেশসময়:  ০৯৫৭ ঘণ্টা,  মার্চ ৩১,  ২০১৯
এমআরএম/এমএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।