ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গণঅধিকার পরিষদ নামে অন্য কাউকে নিবন্ধন নয়, সিইসিকে নুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
গণঅধিকার পরিষদ নামে অন্য কাউকে নিবন্ধন নয়, সিইসিকে নুর এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নুরুল হক নুর। ফাইল ছবি

ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদ নামে অন্য কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে আরজি জানালেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ আরজি জানান।

সম্প্রতি নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে। একই নামে রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশও ইসির নিবন্ধন চেয়েছে। এমনকি গত ২ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা ইসি সচিবের কক্ষের বাইরে হট্টগোলও করেন।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে নুর বলেন, আমরা বলেছি, আমাদের দলেরই একটি অংশ বেরিয়ে গিয়ে এখন নিবন্ধন চায়। তারা ইসিতে এসে বিশৃঙ্খলাও করেছে। আমরা বলেছি, আমাদের দলের নামে অন্য কোনো দলকে যেন নিবন্ধন না দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে সেগুলো বলার মতো নয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর নুরের নেতৃত্বাধীন অংশ গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নামে নিবন্ধন পেলে রেজা কিবরিয়া অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। এরপর তারা ইসি সচিবের দপ্তরেও ঢুকে যান।  

তারা সেখানে ‘অযৌক্তিভাবে’ সেদিনের মধ্যেই নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ওই ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন তখনকার ইসি সচিব শফিউল আজিম।

তিনি বলেন, ঠিক অবরুদ্ধ নয়, (তারা) অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না। আমরা বলেছি, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু তারা সেটি মানতে নারাজ।

২০২১ সালে নুরুল হক নুর ও তার সমমনারা গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালের জুনে এসে দলটি দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদনও করে ফেলে।  

সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই দুই শীর্ষ নেতা নুর ও রেজা পরস্পরকে বহিষ্কার করেন। এতে দলটির নেতৃত্ব ও কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিবন্ধন তালিকা থেকে শেষ পর্যায়ে এসে বাদ পড়ে গণ অধিকার পরিষদ।

এরপর কাউন্সিল করে নুরের অংশ কমিটি গঠন করে ইসিতে নথি জমা দেয়। দুই দফায় পুনর্বিবিচেনার আবেদন করে অবশেষে নিবন্ধন পায় গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ইসিতে আসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন অংশটি। তারাও আবেদন পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়।

বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৮টি। রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ দল পেলে হবে ৪৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।