ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাসিক নির্বাচন

৪ মেয়র প্রার্থীই বৈধ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হচ্ছেন রবিউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
৪ মেয়র প্রার্থীই বৈধ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হচ্ছেন রবিউল রবিউল ইসলাম

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে চার মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধতা পেয়েছে। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হচ্ছেন রবিউল ইসলাম।

যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রবিউলের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

তবে এখনই নয়, ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তিনি নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী ছিলেন।

জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, মেয়র পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছিলেন। মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত চারজনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) রয়েছেন। চারজনেরই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল গত ২৩ মে। এ নির্বাচনে চার মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেন রবিউল ইসলাম। তার ওয়ার্ডে আর কেউ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্রই তোলেননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যাওয়া রবিউল ইসলাম বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সাবেক একজন কাউন্সিলরসহ মোট দুজনের নাম শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কেউই মনোনয়নপত্র তোলেননি। এর মধ্যে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার নির্দেশনার কারণে একজন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অন্যজন প্রার্থী হওয়ার আগে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ওয়ার্ডে ঘুরে সাড়া পাননি। ফলে শেষ পর্যন্ত তিনিও প্রার্থী হননি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহযোগিতায় গত পাঁচ বছর ওয়ার্ডবাসীর বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন দাবি করে রবিউল বলেন, এলাকায় অনেক উন্নয়ন কাজও করেছি। তাই এমনটি হয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হলো। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১ জুন। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২ জুন। আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২। আর এবারই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩০ হাজার ১৫৭ ভোটার।

বিকেল ৪টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে চার জন মেয়র প্রার্থীই বৈধতা পেয়েছেন। তবে কাউন্সিলরদের যাচাই-বাছাই তখনও চলছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।